US Navy: ইউএফও’র ভিডিয়ো তাদের কাছে আছে, কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ করবে না তারা…

US Navy: ইউএফও’র ভিডিয়ো তাদের কাছে আছে, কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ করবে না তারা…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌসেনাবিভাগ ইউএফও-র ছবি প্রকাশ করতে চাইল না। ‘ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন অ্যাক্ট’-এর দোহাই দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল মার্কিন নৌবিভাগের কাছে তাদের হেফাজতে থাকা ইউএফও-র ছবি প্রকাশ করতে অনুরোধ করল। কিন্তু নৌবিভাগ পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এই ধরনের ছবি প্রকাশ করবে না। আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও এবং আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনন বা ইউএপি নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। ফলে গবেষণার দিক থেকেও এই সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য ছবি বা ভিডিয়োর অসীম গুরুত্ব। তাই এই ধরনের যে কোনও কিছু কারও কাছে থেকে থাকলে সেগুলি নিয়ে আরও ব্যাপক গবেষণার পরিসর খুলে দেওয়াই দস্তুর বলে মনে করে কিছু কিছু মহল। কিন্তু মার্কিন নৌসেনা বিভাগ তা দিতে চায়নি। কেননা, তারা মনে করে, তাদের হেফাজতে থাকা এই ধরনের ছবি তথ্য বা ভিডিয়ো প্রকাশ করাটা সমীচীন হবে না। তা তাদের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রতিপন্ন হতে পারে।

স্বনিয়োজিত সংস্থা ব্ল্যাক ভল্ট এবং ইউ টিউব মিলে মার্কিন নৌবিভাগের কাছে এই আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও এবং আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনন বা ইউএপি-র তথ্য চেয়েছিল অন্তত ২ বছর আগে। কিন্তু ২ বছর পরে এই আবেদনের উত্তর দিতে গিয়ে এ জাতীয় জিনিসপত্র প্রকাশ করতে অনীহা প্রকাশ করেছে। তবে, তারা নিশ্চিত করেছে যে, তাদের কাছে আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও-র ভিডিয়ো আছে।

২০২০ সালের অগস্টে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর বা পেন্টাগন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল অজানা উড়ন্ত বস্তু দেখতে পাওয়ার বিবরণগুলি ভালো ভাবে পরীক্ষা করে দেখা। এর নাম ছিল ‘আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা টাস্ক ফোর্স’। এর দায়িত্ব ছিল এসব ঘটনা চিহ্নিত করা, বিশ্লেষণ করা ও তালিকাভুক্ত করা। তা ছাড়া ইউএফও’র ধরন এবং উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান সংগ্রহ করা। রিপোর্টটিতে গত দুদশকের ১২০টি ইউএফও সংক্রান্ত ঘটনাকে বিশ্লেষণও করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল তিনটি ভিডিয়ো যা দীর্ঘদিন গোপন রাখা হয়েছিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে সেই সময়ে কর্মকর্তা স্থানীয় কেউ কেউ বলেছিলেন, রিপোর্টে যে বলা হয়েছে, ভিনগ্রহের মানুষের কর্মকাণ্ডের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, সেটাও যেমন সত্যি, পাশাপাশি এর ব্যাপারে এমন কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যে নেওয়া যায় না, এটাও ভাবতে হবে। মানে, এলিয়েনের সম্ভাবনা বাতিল করেও দেওয়া যায় না। এতেই বোঝা যায়, বিষয়টির প্রভূত গুরুত্ব রয়েছে। ইউএফও বা এলিয়েন-ইস্যুটি এখন তাই আর শুধু কল্পবিজ্ঞান ও পপসংস্কৃতির জগতে বন্দি নেই, তা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে পরিণত।


(Source: zeenews.com)