নয়াদিল্লি : বিয়ের আট বছর পরে গুজরাতের ভাদোদরার বাসিন্দা এক গৃহবধূ জানতে পারলেন তাঁর স্বামী এক সময়ে নারী ছিলেন৷ ৪০ বছর বয়সি ওই মহিলার অভিযোগ, তিনি জানতেই না তাঁর স্বামী অস্ত্রোপচার করে নারী থেকে পুরুষ হয়েছেন৷ গোত্রী থানায় এই মর্মে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি৷ তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্বামী বিরাজ বর্ধনের নাম আগে ছিল বিজেয়তা৷ তিনি অস্ত্রোপচার করে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হন৷ এফআইআর-এ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযোগকারিণী৷
সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন বছর নয়েক আগে একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে বিরাজের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়৷ প্রথম স্বামীকে পথ দুর্ঘটনায় হারানোর পর ১৪ বছর বয়সি মেয়েকে নিয়ে তিনি তখন ব্যক্তিগত জীবনে একা৷ এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতেই ২০১৪ সালে তাঁদের বিয়ে হয়৷ মধুচন্দ্রিমায় দম্পতি গিয়েছিলেন কাশ্মীরে৷ তবে দাম্পত্যে স্বাভাবিক যৌনজীবন তাঁদের ছিল না বলে ওই মহিলার অভিযোগ৷ তাঁর স্বামী জানিয়েছিলেন রাশিয়ায় থাকার সময় তিনি এক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন৷ তার ফলে যৌনসঙ্গমের ক্ষমতা হারান৷ তবে তিনি নাকি এই আশ্বাসই দিয়েছিলেন যে ছোট একটা অস্ত্রোপচারের পর তাঁর স্বাভাবিক যৌনক্ষমতা ফিরে আসবে৷
২০২০ সালের জানুয়ারিতে স্থূলতা থেকে মুক্তি পেতে অস্ত্রোপচারের সাহায্য নেবেন বলে জানান৷ পরে তিনি স্বীকার করেন অতীতে লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য তিনি অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন৷ স্ত্রীর সঙ্গে তিনি অস্বাভাবিক রীতিতে যৌনতায় লিপ্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ৷ এই কথা বাইরে প্রকাশ করলে তার পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে, এই হুমকিও তিনি স্ত্রীকে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ৷ দিল্লির বাসিন্দা অভিযুক্ত বিরাজ বর্ধনকে ভাদোদরায় আনা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷