#মুম্বই: ১৫ বছর আগে গাঁটছড়ায় বাঁধা পড়েছিলেন ঐশ্বর্য-অভিষেক। বচ্চন হাউস প্রতীক্ষাতেই হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। ঘোড়ায় চেপে বিয়ে করতে এসেছিলেন অভিষেক এবং ভক্তদের এক অংশ তারসঙ্গে নাচে, আনন্দে মত্ত ছিলেন তখন। ঠিক যেমনটি আমরা বলিউডের সিনেমা দেখি, ঠিক সেইরকমই এক বড় নাটক হয়েছিল সেখানে। জাহ্নবী কাপুর নামে একজন উথতি মডেল এবং নৃত্যশিল্পী ঐশ্বর্যাকে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর ‘স্বামী’ অভিষেককে তাঁর কাছ থেকে চুরি করতে চান।
২০০৭-এ তাঁদের বিয়ের দিনে জাহ্নবী তাঁর হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা যায়। জুহু বিচে তাঁদের বাড়ি প্রতীক্ষার সামনে এই ঘটনা ঘটে। তিনি সেদিন ঐশ্বর্য-অভিষেকের বিয়ে সহ্য করতে পারেননি। তিনি মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুবছর ধরে ডেট করছিলেন। জুহুতে দেখা করতেন নিয়মিত। তিনি বলেছিলেন যে তিনি দশ বাহানে হানের ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সারদের মধ্যে।
শুধু তাই নয়, অভিষেক তাঁর কপালে সিঁদুর দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন জাহ্নবী। আরও বড় দাবি জানান তিনি। তিনি বলেছিলেন যে তিনি ইতিমধ্যেই অভিষেকের সঙ্গে বিবাহিত এবং তাঁরা ২০০৬-এ তাঁদের বন্ধুদের সামনে তাঁদের বিবাহের প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল। ফটোগ্রাফ বা বিয়ের প্রমাণ চাইলে উত্তরে বলেন যে, “যখন আপনি কাউকে ভালোবাসেন, আপনার প্রমাণের প্রয়োজন নেই।”
জাহ্নবী এমনকি জুহু থানায় অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরিবর্তে তাঁকে আত্মহত্যার চেষ্টা করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে ১০ হাজার টাকার জামিনে তাঁকে ছেড়ে দেন আদালত।