Sonu Nigam : ‘যদি ভালোবাসো আমায় মুক্তি দাও’, মঞ্চে দেবের সঙ্গে হাজির হয়ে বললেন সোনু

Sonu Nigam : ‘যদি ভালোবাসো আমায় মুক্তি দাও’, মঞ্চে দেবের সঙ্গে হাজির হয়ে বললেন সোনু

Sonu Nigam, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল :  শহরের বুকে শপিং মলের ভিতরে বাঁধা হয়েছিল মঞ্চ। শুক্রবার সন্ধেয় সেই মঞ্চ ঘিরেই তখন উপচে পড়েছিল উৎসাহী মানুষের ভিড়। একটি বার ‘কাছের মানুষ’কে দেখার আসায়। অনুরাগীদের হৃদয়ে যত্ন করেই রাখা থাকে প্রিয় তারকাদের নাম। সেক্ষেত্রে প্রিয় তারকা দেব, গায়ক সোনু নিগম তাঁদের অনুরাগীদের ‘কাছের মানুষ’-বললে বোধহয় অত্যুক্তি হয় না। তাঁদেরকেই একটি বার সামনে থেকে দেখার আসায় ভিড় করেছিলেন সকলে। তারকাদের লেন্সবন্দি করতে ক্য়ামেরাও তাক করে রাখা ছিল। অবশেষে কউন্টডাউন শুরু, তাঁরা সামনে এলেন, আর উৎসাহ, উত্তেজনা ফেটে পড়ল উৎসাহী দর্শক।

৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে দেব ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবি ‘কাছের মানুষ’। শুক্রবার, মুক্তি পেয়েছে সেই ছবিরই গান ‘মুক্তি দাও’। যেটি গেয়েছেন সোনু নিগম। এদিন উপস্থিত অনুরাগীদের সামনে আরও একবার সেই গান গাইলেন সোনু। ‘আমি বেমানান, কেন থাকব যুক্তি দাও। যদি ভালোবাসো আমায় মুক্তি দাও’। আরও একবার সেই মেলোডি, সেই গলা, আর অদ্ভুত সুর মূর্ছনায় ভাসলেন শ্রোতা বন্ধুরা। শুক্রবার ‘কাছের মানুষ’-এর গান লঞ্চ অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন দেব। এই গানটি লিখেছেন, সুর দিয়েছেন নীলায়ন চট্টোপাধ্য়ায়। এদিন মঞ্চে নীলায়ন যখন দর্শকদের জন্য আরও একবার গানটি গাইলেন, তখন ‘কাছের মানুষ’দের সঙ্গে নিজেকে সেলফি বন্দি করলেন দেব। এদিন দেব, নীলায়ন, সোনু নিগম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ইশা সাহা।

কাছের মানুষ ছবির পরিচালনা করেছেন পথিকৃৎ বসু। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কুন্তল (দেব) কাছের মানুষ তাঁর মা (তুলিকা বসু) তাঁরই ভুলে শয্যাশায়ী। যেকারণে আত্মগ্লানি আর মনোকষ্টে ভুগছেন ‘কুন্তল’ দেব। অসুস্থ মা-কে জড়িয়ে ধরে দেবকে বলতে শোনা যায়, ‘নিজে দোষ করলে নিজেকে শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু ধরুন, কাছের মানুষ আপনার উপর অভিমান করে নিজেকে শাস্তি দিয়েছে তাহলে কি নিজেকে ক্ষমা করা যায়?’ আর এরপরেই কুন্তলের জীবনে ধূমকেতুর মতো এসে হাজির হন জীবনবীমা কোম্পানিক এজেন্ট ‘সুদর্শন’ (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়)। কুন্তলের মৃত্যুর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে তাঁর ফায়দা। সেই এজেন্টই তাঁকে এটা বিশ্বাস করায়, ‘গাড়ি গড়াতে যেমন চাকা লাগে, কলিযুগে বাঁচতে গেলে তেমন টাকা লাগে’। এখানেই শেষ নয়, এজেন্ট সুদর্শন তাঁকে বোঝায়, কুন্তলের মৃত্যুই একমাত্র তাঁর মায়ের জীবন মসৃণ করতে পারে। তাই তাঁকে মরতেই হবে। কিন্তু কীভাবে মরবেন কুন্তল? তারও নানান উপায় বাতলে দেন ওই এজেন্ট। তবে নাহ, শেষ অবধি তার কোনওটাই কাজ করে না। কুন্তলের জীবনে হঠাৎ এসে হাজির নতুন প্রেম ইশা সাহা। যে তাঁকে বোঝায়, ‘শুধু টাকা থাকলেই ভালো থাকা যায় না, কাছের মানুষগুলোকেও লাগে।’ এরপরই ধীরে ধীরে বদলে যায় কুন্তলের জীবন। কিন্তু কী হবে জীবন বিমা কোম্পানির এজেন্ট ‘সুদর্শন’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের? সে কি সত্যিই কুন্তলের মৃত্যু চায়? নাকি এই ষড়যন্ত্রের পিছনে মুখোশের আড়ালে রয়েছে কোনও ‘কাছের মানুষ’? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।

(Source: zeenews.com)