হস্টেলের নীচে পড়ে প্রাক্তন আবাসিকের দেহ! এবার শুরু ঘটনার পুনর্নির্মাণ

হস্টেলের নীচে পড়ে প্রাক্তন আবাসিকের দেহ! এবার শুরু ঘটনার পুনর্নির্মাণ

#বর্ধমান: বড়সড় একটি পাশ বালিশ। সেই বালিশ নিয়ে হোস্টেলের ছাদে উঠে গেলেন একদল অফিসার। ছাদ থেকে নীচে ফেলা হল সেই বালিশ।রবিরার বর্ধমানে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পুনর্নির্মাণে এল ফরেনসিক দল।

শুক্রবার ওই আবাসনের তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় পাল্লারোডের বাসিন্দা সৌমেন মুর্মু নামে এক ছাত্রের। হস্টেলের ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে তাকে খুন করা হয়েছে বলে  ওই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা৷ ওই ছাত্র আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। সেই সময় ঠিক কী ঘটেছিল তা বোঝার জন্যই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। মৃত সৌমেন মুর্মুর বাবার দাবি, প্রতিহিংসার বশেই কেউ তাকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে।

হস্টেলে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল সৌমেন। কিছুক্ষণ পরেই উদ্ধার হয় তার রক্তাক্ত মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমানে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুন না আত্মহত্যা- ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই নিশ্চিতভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি থানার পাল্লা রোডের বাসিন্দা দ্বিতীয় বর্ষের  ছাত্র সৌমেন মুর্মু এই হোস্টেলের প্রাক্তন আবাসিক ছিল। শুক্রবার সকালেই সে হস্টেলে আসে। আসার কিছুক্ষণ পরই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হোস্টেলের নীচে পরে থাকতে দেখা যায়। তার মাথায় ও চোখে রুমাল জড়ানো ছিল বলে জানিয়েছেন হোস্টেলের আবাসিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

Published by:Rachana Majumder

(Source: news18.com)