স্মৃতির শতরান হাতছাড়া, ছক্কা হাঁকিয়ে ইংল্যান্ড বধ হরমনপ্রীতের, ভারতের জয়ে অনবদ্য ঝুলনও

স্মৃতির শতরান হাতছাড়া, ছক্কা হাঁকিয়ে ইংল্যান্ড বধ হরমনপ্রীতের, ভারতের জয়ে অনবদ্য ঝুলনও

অনবদ্য বোলিং ঝুলনের

টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন হরমনপ্রীত। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি অ্যামি জোন্সের দল। চারটি চারের সাহায্যে ৬১ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যালিস ডেভিডসন-রিচার্ডস। ঝুলন গোস্বামীর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে এটিই শেষ সিরিজ। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এদিন বোলিং ওপেন করেন। ১০ ওভারে ২টি মেডেন, ২০ রানের বিনিময়ে তিনি একটি উইকেট নেন। মহিলাদের একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বাধিক উইকেটশিকারী ঝুলনের বলে একটিও বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। দীপ্তি শর্মা ১টি মেডেন-সহ ৩৩ রানে ২টি উইকেট পান। মেঘনা সিং, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়, স্নেহ রানা ও হারলিন দেওল একটি করে উইকেট দখল করেন।

শেফালির ব্যর্থতা ঢাকলেন স্মৃতি-যস্তিকা

জবাবে খেলতে নেমে ভারত তিন উইকেট হারিয়ে ৪৪.২ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। শেফালি ভার্মা এদিনও বড় রান পেলেন না। তিনি ৬ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ভারতের ওপেনিং জুটি ভাঙে ১.৩ ওভারে মাত্র ৩ রানে। এরপর স্মৃতি মান্ধানা ও যস্তিকা ভাটিয়া ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তিনে নামা উইকেটকিপার যস্তিকা আটটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্য়ে ৪৭ বলে ৫০ রান করেন। এরপর স্মৃতি মান্ধানা ও অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই জুটিই ভারতের সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়।

শতরান হাতছাড়া মান্ধানার

স্মৃতি মান্ধানা ১০টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৯৯ বলে ৯১ রান করেন। কেট ক্রসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন। ভারতকে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় এনে দেন হরমনপ্রীত। তিনি সাতটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৯৪ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন হারলিন দেওল। তিন ম্যাচের সিরিজের আর একটি ম্যাচে জিতলেই ঝুলনের বিদায়ী সিরিজ জিতে স্মরণীয় করে রাখতে পারবেন হরমনপ্রীতরা। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন ক্রস। চার্লি ডিন পেয়েছেন একটি উইকেট।

দলকে জিতিয়ে তৃপ্ত হরমনপ্রীত

ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। তিনি বলেন, এই সিরিজটিতে আমাদের সব প্রয়াস ঝুলুদি (ঝুলন গোস্বামী)-র জন্য। তাঁর বোলিংও অনবদ্য ছিল এদিন। আমি ম্যাচ জেতানো অবধি ক্রিজে থাকতে পারলে ভালো লাগতো। টি ২০ ক্রিকেটে স্ট্রাইক রেট মাথায় রেখে খেলতে হয়। ৫০ ওভারের ফরম্যাটই আমি স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে পারি। হরমনপ্রীতের টস জেতাটা কার্যকরী ছিল। প্রথম ইনিংস চলার সময়েই ঠিক করি, ব্যাক ফুটে কম শট খেলতে হবে। টিম মিটিংয়ের পরিকল্পনামাফিক খেলে ম্যাচ জিতে তৃপ্ত হরমনপ্রীত। দীপ্তি শর্মার বোলিংয়ের প্রশংসার পাশাপাশি যস্তিকা ও স্মৃতির পার্টনারশিপের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন ভারত অধিনায়ক। তিনি নিজেও রান পেয়ে সন্তুষ্ট। তবে জয়ের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান।