পথ দুর্ঘটনা বা গাড়ি দুর্ঘটনা কমাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তারপরেও দুর্ঘটনার পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। প্রতিদিনই রাজ্যের কোনও না কোনও প্রান্তে পথ দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে কোনও জায়গায় পথ দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে দ্রুত পুলিশ পৌঁছে যেতে পারলে জীবনহানি অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়। এই অবস্থায় প্রতিটি বাণিজ্যিক গাড়িতে ভেহিকেল লোকেশন ট্রাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) লাগানো বাধ্যতামূলক করছে পরিবহণ দফতর।
কী এই ডিভাইস?
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি হল এক ধরনের জিপিএস ট্রাকিং সিস্টেম। যার মাধ্যমে কোথাও গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটলে সরাসরি তা জানতে পারবেন গাড়ির মালিক, পুলিশ এবং পরিবহণ দফতর। যার ফলে সেখানে দ্রুত পৌঁছে যাত্রী এবং আরোহীদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এর ফলে জীবনহানি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ১ নভেম্বরের পর থেকে যেসব বাণিজ্যিক গাড়ি রাস্তায় নেমেছে, সেই সমস্ত গাড়িতে এই প্রযুক্তি লাগানো রয়েছে। তবে তার আগে যে সমস্ত গাড়ি রয়েছে সেগুলিতে এই প্রযুক্তি নেই। ফলে সেই সমস্ত গাড়িগুলিতে এই প্রযুক্তি লাগানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যার সংখ্যাটা প্রায় লক্ষাধিক।
অন্যদিকে, পুজোর মুখে কেনাকাটা থেকে শুরু করে মানুষের যাতায়াতের সুবিধায় এবং পুজোর সময় মানুষ যাতে এক জায়গা থেকে আরও এক জায়গায় পুজো দেখতে পারেন, তার জন্য বিভিন্ন রুটে ১০০টি অতিরিক্ত বাস চালাবে পরিবহণ দফতর। আরও কয়েক দিনের মধ্যে অতিরিক্ত ১২০টি বাস নামানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী। কলকাতার বিভিন্ন রুটের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অতিরিক্ত বাস চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।