
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মরফিন (Morphine) নামক নিষিদ্ধ মাদক সেবনের দায়ে দুই বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন আশুতোষ মেহতা (Ashutosh Mehta)। সুত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয় মাদক বিরোধী সংস্থা (NADA) তাঁকে দুই বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বরের একটি নির্দেশিকায় অ্যান্টি ডোপিং ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের তরফে এই নির্বাসনের কথা জানানো হয়েছে।
ভারতীয় ফুটবলে এই রাইট ব্যাক খুব পরিচিত নাম। এক সময় আই লিগের ক্লাব মুম্বই এফসি-র (Mumbai FC) হয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। এরপর আইএসএল-এর (ISL) ফ্রাঞ্চাইজি মুম্বই সিটি এফসি (Mumabi City FC), এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan), পুনে সিটি এফসি (Pune City FC), নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের (North East United) হয়ে খেলেছেন আশুতোষ। কিবু ভিকুনার (Kibu Vicuna) কোচিং-এ মোহনবাগানের (Mohun Bagan) আই লিগ ( I-League) জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। ক্লাব ফুটবলে ২০৭ টি ম্যাচ খেলে ফেললেও, জাতীয় দলের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
২০২২ সালের আইএসএল চলার সময় মরফিন নামক মাদক নিয়েছিলেন আশুতোষ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তিনি ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হন। সেইজন্য তাঁকে দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। যদিও শুনানির সময় তাঁর দাবি ছিল, সবুজ-মেরুনের এক সতীর্থের পরামর্শে ওষুধ নিয়েছিলেন। এমনকি মরফিনকে আয়ুর্ভেদিক ওষুধ বলে দাবি করেন তিনি। তবে তাঁর দাবি ধোপে টেকেনি। তাই শেষ পর্যন্ত আশুতোষকে দুই বছরের জন্য নির্বাসিত করা হল।
ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির তরফে ১৬ পাতার ফাইলে আশুতোষ মেহতার বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি আশুতোষ মেহতার মূত্রের নমুনা নেওয়া হয়। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির নিয়ম মেনেই তাঁর মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরপর টেস্টের ফল হাতে আসার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে এত বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল। যদিও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য, তাঁর কাছে বেশ কিছু কল রেকর্ড, সাক্ষী রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আশুতোষ। তাঁর আরও দাবি এক সতীর্থ ফুটবলার তাঁকে আয়ুর্বেদিক ওষুধের কথা বলে, ওপিয়াম নামের একটি ওষুধ খেতে দিয়েছিলেন। এখন এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।
(Source: zeenews.com)
