মেয়েদের পিরিয়ডস হলে লুকোনো হয় না! এই সব জায়গায় শুরু হয় উৎসব! সকলকে জানানো হয়!

মেয়েদের পিরিয়ডস হলে লুকোনো হয় না! এই সব জায়গায় শুরু হয় উৎসব! সকলকে জানানো হয়!

নয়া দিল্লি:  পিরিয়ডস নিয়ে অনেক জায়গায় অনেক ভুল ধারণা আছে। আমাদের দেশ সহ এমন অনেক জায়গাই আছে যেখানে মেয়েদের পিরিয়ডস শুরু হলে তাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। পিরিয়ডস হলে মন্দিরে যেতে দেওয়া হয় না। বাড়ির ঠাকুর ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এছাড়াও আছে নানা রকম নিয়ম। সব থেকে বড় ব্যাপার লুকিয়ে রাখা হয়। মেয়েদের বোঝানো হয়, এটা লজ্জার তাই কাউকে বলা যাবে না। যেখানে বিষয়টা একেবারেই উল্টো। তবে এমন কিছু জায়গাও আছে যেখানে মেয়েদের পিরিয়ডস হলে শুরু হয় উৎসব।

ব্রাজিল: এই দেশে যখন কোনও মেয়ের পিরিয়ডস হয় তখন তা গোটা পরিবারের সকলকে জানানো হয়। এমনকি পাড়া প্রতিবেশিদেরও জানানো হয়। বাড়িতে শুরু হয় উৎসব, পার্টি।

জাপান: এই দেশে যখন কোনও মেয়ের পিরিয়ডস হয় তখন মেয়ের মা জাপানের বিশেষ একটি খাবার বানা। এই খাবার শুধু মাত্র কন্যার পিরিয়ডস বা শুভ কাজে বানানো হয়।

আইসল্যান্ড: এখানে পিরিয়ডস হলে বাড়িতে কেক বানাও হয়। লাল ও সাদা রঙের। এবং সেই কেক সব থেকে আগে মেয়েকে খাওয়ানো হয়।

তামিলনাড়ু: আমাদের দেশেও তামিলনাড়ুতে মেয়েদের প্রথমবার পিরিয়ডস হলে একটি নিয়ম মানা হয়। আত্মীয়স্বজনকে ডাকা হয় বাড়িতে। মেয়েকে হলুদের জলে স্নান করানো হয়। এর পর মেয়ের কাকা নারকেল, আম, ও নিম পাতা দিয়ে একটি ছোট্ট ঘর বানান। সেখানে রাখা হয় মেয়েকে। এখানে নানা রকম পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয় মেয়েকে। এই নিয়ম শেষ হলে, যত্ন করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

পিরিয়ডস কোনও অসুখ নয়। বা অশুভও নয়। শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েদের শরীরে শুরু হয় পিরিয়ডস। যা সন্তানের জন্ম দেওয়া থেকে আরও নানা শরীর ভালো রাখার কাজে প্রয়োজনীয়। তাই লুকোচুরি নয়। পিরিয়ডস হলে কথা বলতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। হাইজিন মেন্টেন করতেই হবে।

Published by:Piya Banerjee

(Source: news18.com)