২১ নয়, ৪১ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপি-তে যেতে আগ্রহী! ফের জল্পনা বাড়ালেন সুকান্ত-মিঠুন

২১ নয়, ৪১ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপি-তে যেতে আগ্রহী! ফের জল্পনা বাড়ালেন সুকান্ত-মিঠুন

চুঁচুড়া: বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর আগে দলে দলে নেতাদের তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়ার হিড়িক দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ভোটে বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ার পর ফিরেও আসেন অনেকে। শিক্ষক নিয়োগ, গরুপাচার দুর্নীতি নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য, সেই সময় ফের তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে নেতারা পদ্মমুখী হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, সংখ্য়াটা ৪১-এর কম নয়।

তৃণমূলের অনেকেই বিজেপি-তে যেতে আগ্রহী!

মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় প্রাক পুজো সম্মিলনীতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া মিঠুন চক্রবর্তীও। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমন দাবি করেন তাঁরা। বিধানসভা নির্বাতনের আগে যেমন তৃণমূল থেকে অনেকেি বিজেপি-তে গিয়েছিলেন, এ বারও জোড়াফুল শিবিরের নেতাদের পদ্মশিবিরে স্বাগত জানানো হবে কি না জিজ্ঞেস করা হয় তাঁদের। জবাবে মিঠুন বলেন, “আমাকে প্রথমে রিফিজ করে দেওয়া হয়। বলেন, আর নেবেন না কাউকে। কিন্তু আমি বলি, অনেকে আছেন, যাঁরা সবাই সমান নয়। তাঁরা দমবন্ধ বোধ করছেন তৃণমূলে। কেন না চুরি না করেও আঁচ পড়ছে তাঁদের গায়ে। আমি নিশ্চিন্ত করেছি যে, যাঁদের নাম দিয়েছি, তাঁরা কেউ এর মধ্যে নেই। উপরের নেতারা এর পর ঠিক করবেন।”

তৃণমূল ছাড়তে ইচ্ছুক নেতাদের নামের তালিকা ইতিমধ্য়েই বিজেপি নেতৃত্বকে ধরিয়েছেন কি না জানতে চাওয়া হলে, মিঠুন বলেন, “কিছু স্পষ্ট করে বলব না। সব ধরে ফেলবে। কিন্তু প্রোটোকল ছাড়া কাজ করি না আমি। যতটুকু বলার ছিল, বলে দিয়েছি। সব বলেই কাজ করি আমি।”

এর পরই মিঠুনের কথার সুর ধরে সুকান্ত বলেন, “মিঠুনদার কাছে যদি ২১ জনের নাম থাকে, আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ৪১ জনের কম নাম থাকবে না। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা সরাসরি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ক্রমশ প্রকাশ্য।” সঙ্গে মিঠুনের সংযোজন, “কখন, কোথায়, কোন সময়…যা কিছু হতে পারে।”

সুকান্ত এবং মিঠুনের মন্তব্যে জোর জল্পনা

পুজোপ আগে কলকাতায় পা রেখেছেন মিঠুন। শহরে এসেই তৃণমূল বিধায়কদের অনেকে বিজেপি-তে আসতে চাইছেন বলে জল্পনায় ইন্ধন গিয়েছেন। তাঁর দাবি, তাঁর দাবি, ব্যাকআপ ছাড়া কথা বলেন না তিনি। তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন তাঁদের সঙ্গে। সঠিক সময়েই সব কিছু সামনে আসবে বলে দাবি করেন মিঠুন। সেই সংখ্য়াটা দ্বিগুণ বলে এ বার দাবি করলেন সুকান্ত।