মা-বাবার সঙ্গে কচি হাতে ঢাকের বোল ইউভানের, পুজোমণ্ডপে হাজির প্রসেনজিৎও

মা-বাবার সঙ্গে কচি হাতে ঢাকের বোল ইউভানের, পুজোমণ্ডপে হাজির প্রসেনজিৎও

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, হিন্দোল দে, কলকাতা: হাতিবাগানের কুণ্ডুবাড়ির পুজোয় নক্ষত্রের ছটা (Tollywood Celebrities in Festival)। ছেলে ইউভানকে সঙ্গে নিয়ে অষ্টমীর অঞ্জলি দিলেন পরিচালক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty), তাঁ স্ত্রী, অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly)। হাজরা পার্কের পুজোয় সামিল হলেন টলিউড তারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee), আবির চট্টোপাধ্য়ায়রাও (Abir Chatterjee)।

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে আনন্দে শামিল টলিউডের তারকারাও

কখনও মায়ের কোলে বসে অঞ্জলি, বাবার দেখাদেখি কখনও কচি হাতে ঢাকের বোল, অষ্টতে তারকাদের পুজোয় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রইল হলুদ ধুতি-পাঞ্জাবি পরা ছোট্ট ইউভান। হাতিবাগানের কুণ্ডুবাড়িতে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই অঞ্জলি দিলেন টলিউডের তারকা দম্পতি রাজ-শুভশ্রী। বাঙালির প্রাণের উৎসবের সঙ্গে যেন ছেলেকে হাতে ধরে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন এই তারকা দম্পতি।

সেখানে একদিকে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে ঢাক বাজালেন রাজ। অন্য দিকে, রাস্তায় নেমে কাঁসর বাজাতে দেখা গেল শুভশ্রীকে। আর বাবা-মায়ের সঙ্গে উৎসবের আবহে যোগ্য সঙ্গত করল খুদে ইউভান। সকলকে পুজোর শুভেচ্ছাও জানাল সে।

রাজ-শুভশ্রীর পাশাপাশি হাতিবাগানের কুণ্ডুবাড়ির পুজোয় সামিল হন বাংলা সেলুলয়েডের ব্যোমকেশ আবির চট্টোপাধ্যায়। করোনা নিয়ে দু’বছর কাটিয়েছেন। এ বছর পুজো তাই চুটিয়ে উপভোগ করছেন বলে জানালেন তিনি।

আবার হাজরা পার্কের পুজোয় অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে দেখা গেল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। দু’বছর পর উৎসবে আনন্দের শামিল হয়েছেন তিনিও। সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘গত দু’বছর করোনা জন্য আসতে পারিনি। আলাদা টান। প্রতি বছর এই পুজোয় আসি।’’

 উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের বিভিন্ন প্যান্ডেলে হাজির তারকারা

মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ছেলে সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেখানে আড্ডাও জমাতে দেখা গেল প্রসেনজিৎকে। হাজরা পার্কের পুজো মন্ত্রী শোভনদেবের পুজো হিসেবেই পরিচিত। আক্ষরিক অর্থেই পৌরহিত্যের দায়িত্বে তিনি। মন্ত্র পড়ে পুজো করেন তিনি। আরতি করেন। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে জানান, ছোট থেকেই পুজো করে আসছেন। ছোট বেলায় সেই করেই হাতখরচ চলত। মা-বাবার কাছে হাত পাততে হত না।

কিন্তু এ বছর শরীর ভাল যাচ্ছে না, তাই ছেলে সায়নদেবের হাতে পুজোর দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন শোভনদেব। উৎসবের মরসুমে বিরোধীদেরও সব ভুলে পুজোয় শামিল হতে আর্জি জানিয়েছেন শোভনদেব। একই সঙ্গে, শাসক-বিরোধী, দুই শিবিরের নেতাদেরই সংযত হওয়ার বার্তা দিয়েছেন।