ক্রমেই অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো করে ছড়িয়ে পড়ছে ইরানের হিজাব বিরেধী প্রতিবাদ। দেশের দিকে দিকে একনায়কতান্ত্রিক শাসক খামিনির বিরুদ্ধে গর্জা উঠছে মানুষ। যদিও ইরানের প্রশাসনের দাবি, এর নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। অন্যদিকে, বাড়তে থাকা প্রতিবাদকে দমনে একাধিক শহরে পদক্ষেপ করেছে ইরানের ফোর্স।
এদিকে, ইরানের হিজাব বিরোধী প্রতিবাদে আবাদান ও কঙ্গন অয়েল রিফাইনারির কর্মীরাও এবার যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও বশেহার পেট্রোক্যামিক্যাল প্রজেক্টের বহু কর্মী যোগ দিয়েছেন এই প্রতিবাদে। ফলে মনে করা হচ্ছে, ইরানের ফোর্সের দমননীতি যতই জোরদার হোক না কেন, তাতে ক্রমেই দলে দলে মানুষ যোগ দিয়ে তার শক্তি বৃদ্ধি করছেন। এই তৈল পরিশোধন ক্ষেত্রের কর্মীদের হিজাব বিরোধী এই প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে বড় ঘটনা। এই প্রতিবাদ মিছিলের একটি ভিডিয়োয় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইরানে হিসাব বিরোধী প্রতিবাদে মাহাসা আমিনির নাম কেড়েছে শিরোনাম। সেখানে এই মাহাসা আমিনিকে গ্রেফতারির পর তাঁর ইরানের প্রশাসনিক হেফাজতে থেকে মৃত্যুর ঘটনা ঘিরেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে। সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ থেকে এই হিডজাব বিরোধী প্রবল আন্দোলন শুরু হয় ইরানে। ইরানরের নীতি পুলিশের জালে ধরা পড়েন মাহাসা। এরপর হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। পরে অভিযোগ ওঠে ইরানের জেলে তাঁকে মারধর করে হত্যা করা হয়। যদিও ইরান প্রশাসনের দাবি, তাদের তদন্তে দেখা গিয়েছে যে মাহাসা অসুস্থ ছিলেন, আর তার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হতে থাকে ইরান। বহু মহিলা নাবালিকার মৃত্যু হয় সেখানে। তার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন অনেকেই।