Weekend Trip: শীতে চলুন উত্তরবঙ্গর কমলালেবুর গ্রামে, মেঘ-কুয়াশায় কাটুক দিন

Weekend Trip: শীতে চলুন উত্তরবঙ্গর কমলালেবুর গ্রামে, মেঘ-কুয়াশায় কাটুক দিন

North Bengal Offbeat Sittong Tour ভাবুন তো রাস্তার ধার দিয়ে হেঁটে চলেছেন, পাশে গাছে ঝুলছে রসে টইটম্বুর কমলালেবু। শীতের আমেজে সোয়েটার বা চাদরে কান ঢেকেছেন, হাত ঢেকেছেন গ্লাভসে। গাছে কমলালেবু ঝুলতে দেখার জন্য প্রতি শীতে বহু সংখ্যক পর্যটক ছুটে যায় নর্থবেঙ্গলের এই অফবিট স্থানে। এক কিংবা দু’ রাত শান্ত পরিবেশে কাটানোর একেবারে আদর্শ জায়গা।

দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং মহাকুমার অন্তর্গত পাহাড়ি গ্রাম সিটং। ছোট্ট একটা জনপদ। শান্ত নিরিবিলি। বাড়ির সংখ্যাও কম। মূলত লেপচাদেরই বাস এখানে। একটা ছড়ানো উপত্যকা এটা। চারপাশ খোলা। দূর-দূর পর্যন্ত যতটুকু চোখ যায় শুধুই পাহাড়। ধাপে ধাপে ঘরবাড়ি যেন দেশলাই বাক্সের মতো সাজিয়ে রাখা। সিটং-এর আসল বৈশিষ্ট্য হল দার্জিলিংয়ের বিখ্যাত কমলালেবুর সিংহভাগই উৎপন্ন হয় এই সিটং গ্রামে। যেদিকেই চোখ যাবে দেখবেন গাছে ঝুলছে পাকা কমলালেবু। তবে বাগানির থেকে না পরামর্শ নিয়ে কমলালেবুতে না হাত দেওয়াই ভালো। 

গাছে কমলালেবু ঝুলছে দেখতে হলে আপনাকে এখানে আসতে হবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। এই সময় বেশ ভালো শীত উপভোগ করতে পারবেন। দেখবেন পাহাড়ি রাস্তার ঢাল বেয়ে মেঘ-কুয়াশার খেলা। আর তা যেন কমলালেবুর গ্রামকে আরও রহস্যময় করে তোলে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অপরূপ। চারদিকে একাধিক পাহাড়ের বরফে মাখা চূড়া চোখে পড়ে।

আপার সিটং-এ আছে একটি শতাব্দী প্রাচীন গুম্ফা বাঁশ আর মাটি দিয়ে তৈরি। গ্রামে রয়েছে একটি অতি প্রাচীন গির্জাও। দুটোই দেখে নিতে পারবেন পায়ে হেঁটেই।  

কাছেই অহলদারা। পাশের গ্রামও বলতে পারেন। ঘুরে নিতে পারেন মংপুও। বেশিরভাগ বাঙালি পড়েছেন মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’। তাই বিশেষ করে কিছু বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না। ঘুরে নিতে পারেন লাটপাঞ্চার, নামথিং পোখরি লেক, যোগীঘাট ব্রিজ, 

কীভাবে আসবেন:

এনজেপি থেকে সিটং এর দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। আড়াই ঘণ্টা মতো সময় লাগে। ভাড়া পড়বে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। আসার পথে মহলাদিরাম চা বাগান ঘুরে নিতে পারেন। কাছেই কার্শিয়াং, আসতে পারেন সেখান থেকেও। দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। দার্জিলিং থেকে দূরত্ব ৫৩ কিমি মতো। সময় লাগে ওই আড়াই ঘণ্টা মতোই। 

কোথায় থাকবেন:

সিটং-এ রয়েছে একাধিক হোমস্টে। তবে শীতের সময় অনেক পর্যটকই এখানে আসেন কমলালেবু দেখতে। তাই থাকার জায়গার অভাব পড়তেই পারে। আগে থেকে সেক্ষেত্রে বুক করে আসাই ভালো। থাকার জন্য বেছে নিতে পারেন সিটং হোমস্টে, সিটং ভ্যালি হোমস্টে, সিটং অরেঞ্জ ভিলা অ্যান্ড নেচার ক্যাম্প, সিটং অরেঞ্জ গার্ডেন হোমস্টে, মেঘবিতান হোমস্টে।