খরগোশ ভালবাসেন? চোখের সামনেই তো রয়েছে, বলুন তো কটা আছে সবমিলিয়ে

খরগোশ ভালবাসেন? চোখের সামনেই তো রয়েছে, বলুন তো কটা আছে সবমিলিয়ে

কলকাতা: উচ্চ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ব্যক্তিরা কিন্তু ৫ সেকেন্ডের মধ্যে গাছের ভিতরে লুকানো সব খরগোশকে খুঁজে পাবেন। কিন্তু আদতে এটাই তো ধাঁধা, গাছভরে যা দেখা সবই খরগোশ তো?

আমাদের মস্তিষ্ক কী ভাবে কাজ করে তার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু আকর্ষণীয় অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করার চেষ্টা করে এই অপটিক্যাল ইলিউশনগুলি। অনেক সময়, রঙ, আলো এবং প্যাটার্নের নির্দিষ্ট সংমিশ্রণে আমাদের মন চাক্ষুষভাবে এমন কিছু উপলব্ধি করতে পারে যা আসলে সেখানে নেই। সংজ্ঞা অনুসারে, অপটিক্যাল বিভ্রম হল একটি গভীরভাবে চিত্তাকর্ষক, মনকে বিভ্রান্ত করা এবং কোনও বস্তু বা মানুষের আকৃতি পরিবর্তনকারী এক চিত্র যা আমাদের জিনিসগুলি বোঝার পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করে।

এই অপটিক্যাল বিভ্রমগুলি মনোবিশ্লেষণের একটি অংশ হিসেবে দেখা হয়। কারণ ছবির ধাঁধা মানুষের মস্তিষ্ক কী ভাবে কোনও জিনিসকে উপলব্ধি করে তার উপর আলোকপাত করে। একটি সাধারণ মানুষের মস্তিষ্ক বিভিন্ন কোণ থেকে বিভিন্ন উপলব্ধি তৈরি করে বিভিন্ন জিনিস বা ছবি দেখতে পারে, যা আসলে সেখানে ছিলই না। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ছবিতে এমনই একটি চতুর দৃষ্টান্ত দেখা যায় যেখানে একটি গাছের ভিতরে খরগোশ লুকিয়ে আছে।

এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে দর্শকদের গাছের ভিতরে লুকানো খরগোশকে খুঁজে বের করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়ে। এই অপটিক্যাল ইলিউশনের ছবিটি আপাতদৃষ্টিতে একটি সাধারণ গাছের মতো দেখায়। কিন্তু গাছটিতে একটি বা দুটি নয়, তিন-তিনটি খরগোশ লুকিয়ে আছে। সুতরাং, এই অপটিক্যাল বিভ্রমের সবচেয়ে জটিল অংশ হল তিনটে লুকানো খরগোশের মুখ খুঁজে বের করা।

তাহলে গাছের ভিতরে কত কটা লুকিয়ে থাকা খরগোশ খুঁজে পাওয়া গেল- তিনটে না আরও বেশি?

খরগোশ খুঁজতে হলে ছবিটিকে মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে এবং গাছের ভিতরে লুকানো খরগোশের মুখগুলি চিহ্নিত করার চেষ্টা করতে হবে। খরগোশের মুখগুলি খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন বলে মনে হতে পারে কারণ তারা গাছের আঁকাবাঁকা শাখাগুলির মধ্যে চতুরভাবে লুকিয়ে আছে যাতে তাদের সনাক্ত করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

খুঁজে না পেলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই, চিত্রের ভিতরে খরগোশগুলিকে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।

যদি ধাঁধাটি কেউ খুব মন দিয়ে দেখেন তবে লক্ষ্য করবেন যে খরগোশের আকারগুলি গাছের শাখা দ্বারা তৈরি হয়েছে। আর আরও মনোযোগ দিলে তিনি লক্ষ্য করবেন যে কিছু পাতা আসলে খরগোশের চোখ।

দাবি করা হয়েছে যে, মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যে গাছের ভিতরে লুকানো খরগোশের তিনটে মুখ যাঁরা সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন, তাঁরা অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী!

(Feed Source: news18.com)