শনিবার সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে‘অ্যারেস্ট কোহলি’ ট্রেন্ডিংকরা শুরু হয়েছে। বহু ক্রিকেট ভক্ত ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন। প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ কেন কোহলির গ্রেফতারের দাবি উঠল। আসলে মদ্যপ অবস্থায় দুই বন্ধুর মধ্যে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে নিয়ে তর্কাতর্কির জন্যেই প্রাণ হারালেন একজন ক্রিকেট ভক্ত। সেই কারণেই বিরাট কোহলির গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়েছে টুইটারে।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বর্তমান অধিনায়কের ভক্তেরা মাঝে মধ্যেই নিজেদের প্রিয় তারকাকে নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক করে থাকেন। কখনও সেটি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু সেই হাতিহাতি এবারে এক ভক্তের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মধ্যে কে বেশি বড় ক্রিকেটার,সেই নিয়ে বিবাদ চরমে পৌঁছায়। তার জেরেই প্রাণ হারায় এক ভক্ত। রোহিতের ভক্তকে খুন করার অভিযোগ উঠল কোহলির সমর্থকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই বিরাটের সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তামিলনাড়ুর সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। কিলাপালুর পুলিশ জানিয়েছে,মৃত যুবকের নাম পি ভিগনেশ (২৪)। তিনি তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর পয়ূর গ্রামে থাকতেন। আইটিআইয়ের কোর্স শেষ করে সিঙ্গাপুরে কাজে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। ভিসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ক্রিকেট অন্ত প্রাণ ভিগনেশ। ক্রিকেটের অন্ধ ভক্ত ছিলেন অভিযুক্ত তথা ভিগনেশের বন্ধু এস ধর্মরাজও।বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ধর্মরাজকে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং রোহিত শর্মা বলতে অজ্ঞান ছিলেন ভিগনেশ। ধর্মরাজ আবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স এবং বিরাট কোহলি ছাড়া কিছু বুঝতেন না। পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে মল্লুরে একটি নির্জন জায়গায় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করছিলেন দুই বন্ধু। পুলিশ জানিয়েছে, সেই রাতে দু’জনেই মদ্যপান করেছিলেন। সেই সময় ব্যাঙ্গালোর এবং বিরাটকে নিয়ে ভিগনেশ উপহাস করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে,কথা বলার ক্ষেত্রে ধর্মরাজের কিছু সমস্যা ছিল। তা নিয়ে হামেশাই টিপ্পনি কাটতেন ভিগনেশ। মঙ্গলবার রাতেও ধর্মরাজের সেই সমস্যা নিয়ে ব্যাঙ্গালোরকে উপহাস করছিলেন। তাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন ধর্মরাজ। বোতল নিয়ে ভিগনেশকে মেরেছিলেন অভিযুক্ত যুবক। তারপর ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মাথায় মেরেছিলেন। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে ভিগনেশ প্রাণ হারান।
এরপর থেকেই বিরাট কোহলির গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়েছে টুইটারে। কোহলির ভক্তরা অবশ্য তাদের প্রিয় ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করা নিয়ে বেশ বিরক্ত। অনেক কোহলি ভক্তই নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এমন ঘটনায় ক্রীড়ামহলে শোকের ছায়া নেমেছে। কারণ যে কোনও খেলার প্রাণ হয় তার দর্শক,ভক্ত বা সমর্থক। আর তাদেরই যদি প্রাণ হারায় তা মর্মান্তিক হয়ে ওঠে।