অমিত শাহের বৈঠকে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কী নিয়ে বৈঠক নয়াদিল্লিতে?‌

অমিত শাহের বৈঠকে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কী নিয়ে বৈঠক নয়াদিল্লিতে?‌

সব ঠিক থাকলে আবার অমিত শাহ–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমঞ্চে আসতে পারেন। কারণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মাসেই হরিয়ানার সূর্যকুণ্ডে সব কটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি।

কবে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে?‌ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামী ২৭–২৮ অক্টোবর সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হরিয়ানার বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই আমন্ত্রণ পৌঁছেছে নবান্নে। আর এই বৈঠকে পৌরহিত্য করবেন স্বয়ং অমিত শাহ। বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে সেই বৈঠকে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। আবার সব ঠিক থাকলে নবান্নের সভাঘরে নভেম্বর মাসে এসে বৈঠক করতে পারেন অমিত শাহ। সেটা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে সীমান্ত সংক্রান্ত বৈঠক।

বৈঠক নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দিলীপের?‌ এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক নিয়েও রাজনীতি শুরু করে দিল বিজেপি। এদিন বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌ওঁর তো অবশ্যই যাওয়া উচিত। বাংলায় শাসনব্যবস্থার যা অবস্থা, সুরক্ষার যা অবস্থা, তাতে একটু গিয়ে দেখে আসা উচিত কীভাবে প্রশাসন চালাতে হয়। বাংলা সীমান্তবর্তী রাজ্য। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি। সব জঙ্গি সংস্থার এজেন্ট এখানে পাওয়া যাচ্ছে, গ্যাংস্টারদের হদিশ মিলছে। তাই বাংলায় প্রশাসনের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা উচিত।’‌

কী জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস?‌ দিলীপের মন্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, ‘‌ভারতের সংবিধানে যে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর কথা বলে, তাতে এটাই হওয়া উচিত। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতার দম্ভে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ভেঙে তছনছ করে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে, তার জন্যই অবাক হচ্ছি আমরা। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রেকর্ড অনুযায়ী, বাংলা দেশের সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য। কলকাতা দেশের নিরাপদতম শহর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত শাহের। যাতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি বাংলার মতো নিরাপদ হয়।’‌

(Feed Source: hindustantimes.com)