রুশ সেনার সঙ্গে ন্যাটোর সরাসরি সংঘাত বিশ্বে বিপর্যয় আনবে, ফের হুমকি পুতিনের

রুশ সেনার সঙ্গে ন্যাটোর সরাসরি সংঘাত বিশ্বে বিপর্যয় আনবে, ফের হুমকি পুতিনের

মস্কো: ন্যাটো-বাহিনী (NATO) যদি রুশ সেনার (russian forces) সঙ্গে সরাসরি (direct) সংঘাতে (conflict) যায়, তা হলে তা তামাম বিশ্বের (world) জন্য ‘বিপর্যয়’ (catastrophe) ডেকে আনবে। ফের হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন Putin)। অতীতে নিজেদের চৌহদ্দি রক্ষার জন্য পরমাণু হামলার হুমকিও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। এবার নতুন হুঁশিয়ারি।

কী বললেন পুতিন?
কাজাখস্তানের রাজধানী আসতানা-য় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘যে কোনও পরিস্থিতিতেই রুশ সেনার সঙ্গে ন্যাটো বাহিনীর সরাসরি সংঘাত অত্য়ন্ত বিপজ্জনক একটি ঘটনা যা গোটা বিশ্বের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। যাঁরা এ সব আলোচনা করছেন, আমি আশা করব তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল এবং সব দিক বিবেচনা করেই কথাগুলো বলছেন।’ প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই জি-সেভেন গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি ইউক্রেনের মাটিতে পরমাণু শক্তির ব্যবহারের হুঁশিয়ারির সমালোচনা করেছিল। সঙ্গে বলে, এমন কিছু ঘটলে তার মারাত্মক পরিণাম হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘রাশিয়া যদি কোনও পরমাণু, রাসায়নিক বা জৈব অস্ত্র ব্যবহার করে তা হলে উচিত ফল ভুগতে হবে।’ ঘটনা হল, ইউক্রেনের কিছু অংশ  অন্তর্ভুক্তির পর থেকে নতুন করে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে সুর চড়িয়েছে রাশিয়া। পাল্টা দিচ্ছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলিও।

প্রেক্ষাপট…
মূলত দনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণকে কেন্দ্র করেই ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। সেই যুদ্ধ এখনও থামেনি। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের একের পর এক শহর কার্যত মিশে গিয়েছে, নিহতের তালিকা লম্বা। তবে আন্তর্জাতিক সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, পুতিন-বাহিনী যে আগ্রাসন নিয়ে কিয়েভ দখল করবে ভেবেছিল, বাস্তবে তা হয়নি। বরং বেশ কিছু জায়গায় রুশ সেনাকে পিছু হঠতে হয়েছে বলে খবর। তবে এর মধ্যে, গত ৯ অক্টোবর রাত থেকে ফের হামলার তীব্রতা বাড়ায় পুতিনের সেনা। ইউক্রেনের আকাশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের মারণ-আক্রমণ এগারো জনের মৃত্যুর খবর জানা যায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদামির পুতিন জানান, ক্রিমিয়া উপসাগরীয় অঞ্চলে একটি সেতুতে যে ভাবে ‘জঙ্গিহানা’ চালিয়েছে ইউক্রেন, তার জবাবেই এই ঘাতক এয়ারস্ট্রাইক। পুতিন বলেন, ‘ক্রিমিয়া সেতু বিস্ফোরণ জঙ্গিহামলার নমুনা। এই হানার পিছনে ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী হাত রয়েছে। তুরস্কের গ্যাসের পাইপলাইনও উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল ইউক্রেন…রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমন আক্রমণ জারি থাকলে আরও কড়া জবাব আসবে। ‘

(Feed Source: abplive.com)