টান পড়তে পারে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে, নোরা ফতেহির অনুষ্ঠানে না বাংলাদেশ সরকারের

টান পড়তে পারে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে, নোরা ফতেহির অনুষ্ঠানে না বাংলাদেশ সরকারের

ঢাকা: বলিউড অভিনেত্রী (Bollywood) নোরা ফতেহির (Nora Fatehi) অনুষ্ঠানে না বাংলাদেশ সরকারের। অন্য কোনও কারণ নয়, সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার (Foreign Exchange Reserves) ভাঁড়ারে খালি না হয়ে যায়, সেই কারণেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত। সোমবার নোটিস প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারের (Bangladesh) সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছ।

ঢাকায় নোরার অনুষ্ঠানে না বাংলাদেশ সরকারের

বড় বাজেটের ছবিতে মূলত গানের দৃশ্যে দেখা গেলেও, বিগত কয়েক বছরে আসমুদ্র হিমাচল তো বটেই, পড়শি দেশেও বিপুল জনপ্রিয়তা নোরার। ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে সম্প্রতি অংশ নেওয়ার ডাক পান তিনি। কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার নোরার ওই অনুষ্ঠানে অনুমোদন দেয়নি।

সোমবার বাংলাদেশ সরকারের তরফে যে নোটিস প্রকাশ করা হয়, তাতে বলা হয়, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই মুহূর্তে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার  রক্ষা করাই প্রধান লক্ষ্য’। উইমেন লিডারশিপ কর্পোরেশনের তরফে আয়োজিত একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল নোরার।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশের সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ ৩ হাজার ৬৩৩ কোটি ডলার। এক বছর আগে এই পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। তাই সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগী বাংলাদেশ সরকার। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে ডলারে পারিশ্রমিক দেওয়া নিয়ে বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে। সেই কারণেই নোরার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দিল না।

দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের থেকে ঋণ চেয়েও আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। চলতি মাসেই তার জন্য বাংলাদেশে যেতে পারে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রতিনিধি দল। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার বিপজ্জনক জায়গায় না পৌঁছলেও, তা থেকে ব্যয় বেড়েছে সাম্প্রতিক কালে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারও। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল জায়গায় দাঁড় করিয়ে রাখতে বিশেষ পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। সেই আবহে নোরার পারিশ্রমিক বাবদ ডলার খরচ রুখতেই বাংলাদেশ সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিল।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত

মরক্কো এবং কানাডীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের নেয়ে নোরা। ২০১৪ সালে হিন্দি ছবিতে আত্মপ্রকাশ। বাড়ির থেকে পালিয়েই মুম্বইয়ে পা রাখেন নোরা। রক্ষণশীল পরিবারের বিধিনিষেধ এড়িয়ে নাচের প্রতি ভালবাসার জন্য মায়ানগরীতে পদার্পণ তাঁর। গত কয়েক বছরে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করতে পেরেছেন। একই সঙ্গে ঠগবাজ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সমীকরণ নিয়ে বিতর্কেও পড়েছেন।