#কলকাতা: শরীরের নানা অংশের পুনর্গঠনের চিকিৎসার কথা কম-বেশি অনেকেরই শোনা! তবে এবার শরীরের অংশ থেকেই তৈরি করা হচ্ছে নাক! উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার নিমতার বাসিন্দা বুলা চক্রবর্তীকে নাক উপহার দিতে চলেছে রাজ্যের এক নম্বর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম।
স্টেজ ফোর ক্যান্সারে গোটা নাকজুড়ে টিউমার ছড়িয়ে পড়েছিল বুলা চক্রবর্তীর। মারাত্মক পচন ধরেছিল তাঁর নাকে। এই অসহায় পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে খুব শীঘ্রই। নতুন নাক পেতে চলেছেন ৫৯ বছরের প্রৌঢ়া। তাঁর শরীরেরই বিভিন্ন অংশের চামড়া, হাড় এবং মাংস দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নতুন একটি নাক। ক্যান্সার আক্রান্ত এই মহিলাকে বাঁচাতে ট্যিউমর- সমেত পুরো নাকটি গোড়া থেকে চেঁছে ফেলে দিয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তার জায়গায় বসতে চলেছে তাঁরই দেহাংশ দিয়ে তৈরি নতুন নাক। চিকিৎসা পরিভাষায় এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘টোটাল ন্যাজাল রিকনস্ট্রাকশন’। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে শুধু এই রাজ্যেই নয়, সারা দেশের চিকিৎসাশাস্ত্রে একটি নয়া অধ্যায় সংযোজিত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতাল।
হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের বিশিষ্ঠ চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, পুরোটা একবারে নয়, চারটি পর্যায়ে, চারবার, দফায়-দফায় অপারেশন করে, কিছুটা-কিছুটা করে অগ্রগতি ঘটিয়ে, শেষমেশ একটি নতুন নাক বসবে বুলাদেবীর মুখে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে বৃহস্পতিবার এই অপারেশনের তৃতীয় দফা শেষ হয়েছে। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর ট্যিউমর আক্রান্ত গোটা নাকটিই কেটে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ১৭ অক্টোবর দ্বিতীয় দফার অপারেশনে কপাল থেকে চামড়া নেওয়া হয়েছিল। নাকের পাটা তৈরির জন্য বুক থেকে তরুণাস্থি সংগ্রহ করা হয়েছিল। নাসারন্ধ্র অক্ষুন্ন রেখে সেই হাড় ও মাথার চামড়া দিয়ে তৈরি হয় নাকের অবয়ব। মাথায় চামড়ার শূন্যস্থান ঢাকা হয়েছে পায়ের চামড়া দিয়ে। এ’দিন বুকের আরও কয়েকটি হাড়ের অংশ দিয়ে পাকাপোক্ত করা হয়েছে নাকের পাটা-সহ বাকি কাঠামো। সে জন্য দুটি কানের তরুনাস্থিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিন সপ্তাহ পর নাকের পুনর্গঠনের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পূর্ণ হবে।
(Feed Source: news18.com)