#ওয়াশিংটন: গোটা বিশ্বে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার সঠিক ব্যাখ্যা সাইন্সের কাছেও থাকে না। সম্প্রতি আমেরিকার এক যুবতীর সঙ্গে যা হল তা ভাবতেও পারবেন না। ২৩ বছর বয়স ওই যুবতীর। সবে পড়াশুনো শেষ করে শিক্ষিকার চাকরিতে জয়েন করেন। চাকরিতে জয়েন করার পরেই ঘটে গেল এক অবাক ঘটনা।
সাধারণত মেয়েরা গর্ভবতী হলে প্রথম কয়েক সপ্তাহেই তা বুঝতে পারে। পিরিয়ডস বন্ধ হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব এমন অনেক গুলো বিষয় রয়েছে যা দেখে বোঝা যায় শরীরে পরিবর্তন হচ্ছে। আর তখনই দরকার পরে প্রেগন্যান্সি টেস্টের। এই মহিলার ক্ষেত্রে গোটা বিষয়টাই উল্টো। সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে ওই যুবতী বুঝতে পারেন তিনি গর্ভবতী। তার আগে জানতেনই না তাঁর গর্ভে সন্তান রয়েছে। ভাবছেন তো এ কী করে সম্ভব!
সত্যিই এমনটা ঘটেছে। ওই যুবতী জানিয়েছেন, নতুন চাকরিতে জয়েন করার পর থেকে খুব ট্রায়াডনেস কাজ করত। মাঝে মধ্যেই নিজেকে খুব ট্রায়াড লাগত। তিনি ভেবেছিলেন এটা নিশ্চয় নতুন চাকরির সিডিউলে বদল বলেই হচ্ছে। নিজের প্রেমিকের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই লিভিং করেন ওই যুবতী। শরীরে প্রেগন্যান্সির কোনও লক্ষনই ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন ওই মহিলা দেখেন তাঁর পা খুব ভারী হয়ে গিয়েছে। এবং পা থেকে খুব ঘাম হচ্ছে। গা হাত পায়ে ব্যথা হচ্ছে। একটা অস্বস্থিও হচ্ছে। এই অবস্থায় ডাক্তারের কাছে যান তিনি। এই সময় মহিলার মনে হয় তিনি প্রেগন্যান্ট নয় তো? ডাক্তার বলেন, ওই যুবতী প্রেগন্যান্ট। শুধু তাই নয় , “মাত্র ১৫ মিনিট সময় আছে হাতে। ১৫ মিনিট পরেই তুমি সন্তানের মা হবে।” ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মা হন ওই মহিলা। এই ঘটনায় তাঁর প্রেমিক ও যুবতী দু’জনেই চমকে যান। তবে ডাক্তাররা বলছেন এগুলো খুব রেয়ার কেস। এমনটা আগেও হয়েছে।