আরও অ্যাকাউন্টের খোঁজ, ২০০ কোটি ছাড়াল শৈলেশের অর্থের পরিমাণ 

আরও অ্যাকাউন্টের খোঁজ, ২০০ কোটি ছাড়াল শৈলেশের অর্থের পরিমাণ 

অমিত সরকার, কলকাতা: টাকার অঙ্ক ক্রমশ বাড়তেই আছে। হাওড়ার বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আরও ১১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৩ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার নতুন করে যে ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল তাতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ছ’টি অ্যাকাউন্টে ৫৭ কোটির লেনদেন হয়েছিল। পরে বাকি ১১টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ নিতেই বেরিয়ে এল ৭৩ কোটির তথ্য।

পুলিশ সূত্রে এও দাবি করা হয়েছে, শৈলেশ পাণ্ডের শুধু ব্যাঙ্ক থেকেই ২০৭ কোটি টাকা মিলল। এছাড়া নগদ উদ্ধার হয়েছে ৮ কোটি টাকা। এখানেই হিসেব শেষ নয়। আয় কর দফতর এর আগে ৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত করতে গিয়ে আগের ১৬টি অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তাদের দাবি, সেখানে মিলেছিল ৭৭ কোটির লেনদেন। প্রথমে ১৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা হত। আয়কর দফতর হানার পর কিছু সময় চুপ থেকে ফের শুরু হয় শৈলেশের কেরামতি। ১৬টি অ্যাকাউন্ট চালু করে শুরু হয় লেনদেন। সব মিলিয়ে ২০০ কোটি ছাড়িয়েছে টাকার অঙ্ক।

মঙ্গলবারও অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ । কম্পিউটার, স্ট্যাম্প, ব্যাঙ্কের পাসবই, চেক বই-সহ একাধিক নথি উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শৈলেশের অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। সেই সময়ও নগদ টাকার হদিশ পাওয়া যায়। সেই হানার পর পুরনো অ্যাকাউন্ট গুলোর লেনদেন সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়। চালু করেন নতুন অ্যাকাউন্ট। এমনকী, অনলাইনে বিদেশি মুদ্রা কেনার ক্ষেত্রেও ঝোঁক ছিল । শুধু শৈলেশ নাকি তার ভাইয়েরাও সমান ভাবে জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকী, শৈলেশ চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কি না, খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এই প্রতারণা চক্রে আর কার কার লিঙ্ক আছে খোঁজ শুরু হয়েছে। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও একাধিক ফোন গিয়েছিল শৈলেশের থেকে বলে জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশও।

(Feed Source: news18.com)