শুধু রেজিস্ট্রি নয়, করতে হবে আচার-অনুষ্ঠানও, রায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের

শুধু রেজিস্ট্রি নয়, করতে হবে আচার-অনুষ্ঠানও, রায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের

#চেন্নাই: অনেকেই জাঁকজমক করে বিয়ে করতে পছন্দ করেন না। সে-ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রেজিস্ট্রি করেই বিয়ে সেরে নেন তাঁরা। কিন্তু এই সংক্রান্ত বিষয়ে এক রায় দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সেই রায়ে আদালত জানিয়েছে যে, অনুষ্ঠান করে বিয়ে না-হলে সেই বিয়ে ‘বৈধ’ নয়। সোজাসাপ্টা ভাবে বলতে গেলে বিয়ের অনুষ্ঠান না-হলে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অথবা বিয়ের শংসাপত্রের কোনও মূল্য থাকবে না। শুধু তা-ই নয়, সেই বিয়ের শংসাপত্র ‘জাল’ হিসেবেই গণ্য হবে।

কিন্তু মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায়ের কারণ কী? আদালতে ২০১৫ সালের একটি মামলার শুনানি চলছিল। তাতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মুসলিম ধর্মাবলম্বী মহিলা। তাঁর দাবি, তাঁর খুড়তুতো ভাই তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এমনকী বিয়ে না-হলে ওই মহিলার মা-বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ মহিলার। তাঁর আরও দাবি, হুমকি দেওয়ার পর ওই অভিযুক্ত তাঁকে সটান সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিয়ে যায় এবং সেখানে বিবাহের রেজিস্টারে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এই অভিযোগ নিয়েই মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হন। আর সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এহেন রায় দিয়েছে আদালত। মহিলা দাবি করেছিলেন যে, তাঁর এবং তাঁর ভাইয়ের মধ্যে ইসলামি রীতি-নিয়ম মেনে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান হয়নি।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিচারপতি আর বিজয়কুমার ওই মামলার রায় দানের সময় এই নির্দেশ জারি করেন। তিনি জানান, প্রতিটি দম্পতিকেই নিজস্ব ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান এবং আচার পালন করতে হবে। আর এটা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এই ভাবে আচার-অনুষ্ঠান পালন করার মাধ্যমে বিয়ে হলে তবেই তামিলনাড়ু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন ২০০৯-এর আওতায় নিজেদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন সেখানকার দম্পতিরা।

সেই সঙ্গে আদালত আরও জানিয়েছে, যে-সব আধিকারিক বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করান, তাঁদেরকেই বিয়ের বিষয়টা খতিয়ে দেখতে হবে। অর্থাৎ যে দম্পতি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করছেন, তাঁরা আদৌ অনুষ্ঠান এবং আচার পালন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন কি না, সেই বিষয়টা আধিকারিকদেরই যাচাই করে নিতে হবে। তবেই বিবাহের সেই রেজিস্ট্রেশন ‘বৈধ’ বলে গণ্য হবে।

(Feed Source: news18.com