#কলকাতা: পোস্ত। নাম শুনলেই জিভে জল। এক বাটি পোস্ত দিয়ে এক থালা ভাত চেটেপুটে খেয়ে নিতে পারে বাঙালি। কিন্তু নিখাদ পোস্ত দিয়ে কি মিষ্টি বানানো যায়? এমন প্রশ্ন শুনলে অনেকেই গালে হাত দিয়ে ভাবতে বসবেন। থাক, আর রহস্য বাড়িয়ে কাজ নেই। উত্তরটা হল, যায়। সেটা পোস্ত বাদামের হালুয়া। পোস্ত আর আমন্ড দিয়ে জিভে জল আনা এক মিষ্টি।
ফোঁটা পর্ব মিটে যাবে সকালেই। বড়জোর ৯টা। তারপর দুপুরে পাত পেড়ে বসতে বসতে ১টা-২টো। মাঝের এই চার-পাঁচ ঘণ্টা তো পেটে ছুঁচোয় ডন মারবে! সেই সময়েই হয়ে যাক পোস্ত বাদামের হালুয়া। অবশ্য চাইলে মিষ্টির বিশেষ পদ হিসেবে ফোঁটার সময়েও হালুয়া সাজিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু পরপর মিষ্টি খেয়ে জিভ ম্যাজম্যাজ করতে পারে। তাই এটা জলখাবারেই ভাল।
তবে হ্যাঁ, পোস্ত বাদামের হালুয়া নিছক মিষ্টি নয়, স্বাস্থ্য রক্ষার মহৌষধও। পুষ্টিগুণে ঠাসা। পোস্তয় আছে কপার আর ক্যালসিয়াম। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ শরীরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। আমন্ডের গুণ তো বলে শেষ করা যাবে না। হার্ট ভাল রাখে, ওজন কমায় এমনকী এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎসও। তাই প্রসবের পর নতুন মায়েদের স্বাস্থ্য উদ্ধারে এই হালুয়া দেওয়া হয়।
যা যা লাগবে: ১৫০ গ্রাম পোস্ত, ১০০ গ্রাম আমন্ড, ৭৫ গ্রাম ঘি, ১০০ গ্রাম চিনি, হাফ কাপ কনডেন্সড মিল্ক এবং হাফ কাপ দুধ।
পোস্ত বাদামের হালুয়া তৈরির রেসিপি: পোস্ত এবং আমন্ড আলাদা ভাবে গরম জলে অন্তত ৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সারারাত ভিজিয়ে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভাল। সকালে জল ফেলে দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। ১ টেবিল চামচ দুধ দেওয়া যায়। নরম হয়ে যাবে। এবার নন-স্টিক প্যানে ঘি গরম করে তাতে দিতে হবে পোস্তর পেস্ট। অল্প আঁচে ৫ থেকে ৭ মিনিট ভাজতে হবে।
পোস্ত বাটার রঙ সোনালি হয়ে গেলে তাতে দিতে হবে চিনি। ফের ভাজতে হবে, যতক্ষণ না চিনি পুরো গলে যায়। এবার তাতে কনডেন্সড মিল্ক এবং দুধ মিশিয়ে নাড়তে হবে। সঙ্গে দিতে হবে বাদামের পেস্ট। কিছুক্ষণের মধ্যেই হালুয়া আধা-সলিড হয়ে যাবে। এই পর্যায়ে গ্যাস থেকে প্যান নামিয়ে হালুয়ার উপর গোটা বাদাম গার্নিশ করে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।