#কলকাতা: করোনা মহামারীতে লকডাউনের কারণে বাজার-অফিস বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ মানুষই সময় ঘরে বসেই কাটিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই, এই সময়ের মধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। মানুষের হাতে কাজ কম থাকায় নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য এবং বিনোদনের জন্য সকলেই ইন্টারনেটের আশ্রয় নিয়েছিলেন। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সময়ে মানুষের মধ্যে ডেটিং অ্যাপের ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ছোট শহরের মানুষের মধ্যে এই অ্যাপের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। যা এখনও জারি রয়েছে।
আগে অনলাইন ডেটিং বিষয়টি শুধুমাত্র মেট্রো সিটিতে সীমাবদ্ধ ছিল। লাইভমিন্ট-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ছোট শহর থেকে আসা তরুণ ভারতীয়রা এখন প্রেমের এবং সঙ্গীর জন্য ডেটিং অ্যাপের উপর নির্ভর করছেন।
নন-মেট্রো শহরগুলিতে বেড়েছ ব্যবহারকারীর সংখ্যা
ডেটিং অ্যাপ কোম্পানির কর্মকর্তাদের মতে, অ্যাপে মেট্রো শহরের বাইরের ব্যবহারকারীদের শেয়ার এখন ৭০ শতাংশ। আহমেদাবাদ, সুরাত, লখনউ, জয়পুর, চণ্ডীগড় এবং পটনায় ডেটিং অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় রয়েছেন মহিলারা।
ডেটিং অ্যাপের কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৭২ শতাংশ ইউজার বিশ্বাস করেন যে কারও সঙ্গে দেখা ছাড়াই অনলাইনে প্রেম সম্ভব। কোভিড মহামারীর পরে ভারতীদের মধ্যে অনলাইন ডেটিংয়ের চাহিদা বেড়েছে এবং তাঁরা এর জন্য টাকা দিতেও প্রস্তুত।
এন্ডউইমেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এই রিপোর্টে বলেছেন, মেট্রো সিটি থেকে যুবক-যুবতীদের তাঁদের নিজ শহরে ফিরে যাওয়ার কারণে ছোট শহরগুলিতে ডেটিং অ্যাপের ইউজারের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ভারতীয়রা টিন্ডারে ভিডিও ডেটিং পছন্দ করেন। তার অবশ্য দুই রকমের বাস্তব কারণও রয়েছে। প্রথমত, ছবি দেখে কার চেহারা কী রকমের সেটা সব সময়ে বোঝা সম্ভব হয় না। তাই ছবি দেখার চেয়ে ভিডিও কলের প্রবণতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে ভিডিও কল কোথাও গিয়ে ডেট করার খরচ থেকেও অব্যাহতি দেয়, প্রাপ্তমনস্ক আদান-প্রদানেও সাহায্য করে থাকে। এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে হায়দরাবাদ। তার পর রয়েছে চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু।