সায়ন্তনের ‘বিস্ফোরক’ চিঠি! ঘরে, বাইরে তোলপাড় গেরুয়াশিবির! মুখ খুলল TMC-BJP

সায়ন্তনের ‘বিস্ফোরক’ চিঠি! ঘরে, বাইরে তোলপাড় গেরুয়াশিবির! মুখ খুলল TMC-BJP

কলকাতা: ‘উনি বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক। কোন মডেল কী তাদের ব্যাপার। যে চিঠি লিখেছেন তা বাংলার মানুষ জানে। ওঁর চিন্তা ব্যক্ত করেছেন। দেখলাম বিজেপির বদলে বামেরা উঠে আসছে। তবে আমি বলব মানুষ তৃণমূলে ফিরছেন। বিজেপি থেকে সিপিআইএম-এ নয়, মানুষ তৃণমূলে ফিরছে’। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর বিস্ফোরক চিঠি প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

‘২০১৯ মডেল ফিরিয়ে আনা হোক রাজ্য বিজেপিতে’। মোদি-শাহ-নাড্ডা-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে এই মর্মে  চিঠি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। চিঠির ছত্রে-ছত্রে আক্রমণ করা হয়েছে বর্তমান বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দলের কাজে যারা প্রাণপাত করেছেন তাদের দলে গুরুত্ব নেই। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা অন্য দল থেকে দলে এসেছেন তাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আসন দেওয়া হয়েছে। ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন দলের আদি কর্মীরা। ফলস্বরূপ দুর্গাপুর, পূর্ব, বিধাননগর, পানিহাটি, ব্যারাকপুর, সিঙ্গুর, সিউড়ি, জলপাইগুড়ি, সপ্তগ্রাম, কালনা, ভবানীপুরের মতো আসন হারাতে হয়েছে বিজেপিকে। এর পরেও দল নিজেকে শোধরায়নি। যার ফলে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে দলের ফল নিয়ে চিন্তায়।

তাঁর আরও অভিযোগ, “দল ভীষণরকম ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। দলের কিছু নেতা ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যা ভাবনা প্রচার করছে ৷ এতে আসলে ক্ষতি হচ্ছে দলের। আর এর ফলে আগামী দিনে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই হবে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএমের মধ্যে। এছাড়াও চিঠিতে সায়ন্তন বসুর অভিযোগ, ‘বর্তমানে দলে নতুনরা জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পাচ্ছে। আমি কোনও নবাগতের বিরুদ্ধে নই ৷ কিন্তু তাদের দায়িত্ব নিতে এবং কাজ শেখার সময় দিতে হবে৷ যদিও নতুনদের সংখ্যাই এখন সবচেয়ে বেশি। কিছু সিনিয়র নেতা, বিরোধী দলনেতা ও সাংসদ আছেন। যারা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের যে ভাষায় আক্রমণ করে চলেছেন তা যথাযথ নয়৷ নিজেদের কথা না বলে, তাঁরা দলের আদর্শকে মাথায় রেখে জাতীয় স্বার্থের কথা তুলে ধরুক’।

গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে লেখা এই ধরনের নানান বিস্ফোরক অভিযোগ এবং পরামর্শ উঠে এসেছে সায়ন্তন বসুর এই চিঠিতে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও সায়ন্তন বসুর চিঠি প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুধু বললেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। যিনি চিঠি লিখেছেন তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন। আমরা সবাইকে গুরুত্ব দিয়েই চলি’।

(Feed Source: news18.com)