কলকাতার পুরনো গরিমা ফিরিয়ে আনতে নয়া উদ্যোগ, প্রথমবার আয়োজন CCU উৎসবের

কলকাতার পুরনো গরিমা ফিরিয়ে আনতে নয়া উদ্যোগ, প্রথমবার আয়োজন CCU উৎসবের

কলকাতার পুরনো গরিমা ফিরিয়ে আনতে নয়া উদ্যোগ নিল ‘মেক ক্যালকাটা রেলিভেন্ট এগেন’। প্রথমবার সিসিইউ উৎসবের আয়োজন করা হল। যে উৎসব ‘মেক ক্যালকাটা রেলিভেন্ট এগেন’-র প্রতিষ্ঠাতা তথা টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের চিফ ইনোভেশন অফিসার মেঘদূত রায়চৌধুরীর মস্তিষ্কপ্রসূত। সেইসঙ্গে ওই উৎসবের মাধ্যমে রাজ্যের বিশেষত্ব ও বৈচিত্র্য তুলে ধরা হবে।

ইকোপার্কে তালকুঠির কনভেনশনে ছৌ নাচের মধ্যে দিয়ে সিসিইউ উৎসবের সূচনা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এনকেডিএয়ের চেয়ারম্যান এবং হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার দেবাশিস সেন, প্রাক্তন অলিম্পিয়ান ও ভারতের জাতীয় রাইফেল কোচ জয়দীপ কর্মকার, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো-চেয়ারপার্সন মানসী রায়চৌধুরী এবং অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য।

সেই উৎসবের প্রসঙ্গে ‘মেক ক্যালকাটা রেলিভেন্ট এগেন’-র প্রতিষ্ঠাতা জানান, কলকাতার মধ্যে যাবতীয় ক্ষেত্রে উদ্ভাবন, খেলাধুলো, ভালো জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির বীজ ঠাসা আছে। সিসিইউ উৎসবের মাধ্যমে কলকাতা হারিয়ে যাওয়া গরিমা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেই উৎসবের মাধ্যমে এমন সব কাহিনি তুলে ধরা হবে, যা অবাক হয়ে দেখবে বিশ্ব। আগে যা কখনও হয়নি, সেভাবে কলকাতাকে নিয়ে গর্ববোধের সুযোগ করে দেবে এই উৎসব। সেই উৎসবের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রের আইকনদের খুঁজে বের করা হবে। তার ফলে এই শহরকে ভালোবাসার আরও নতুন কারণ খুঁজে পাবে তরুণ প্রজন্ম। মেঘদূত বলেন, ‘এরকম অনুষ্ঠানের কখনও সাক্ষী থাকেনি কলকাতা।’

ওয়াই-ইস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সাসটেনবিলিটি ডিরেক্টর পাউলিন লারাভয়রে জানান, একটানা ১৬ ঘণ্টায় ১৪ টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য ৫০০ জন ক্রিয়েটরকে একই ছাদের তলায় আনা হয়েছে। সেইসঙ্গে আপস্পার্কস, কালারি ক্যাপিটাল, এআরসি গ্রুপ, হায়দরাবাদ এঞ্জেলস, চেন্নাই এঞ্জেলসের মতো ৮০ টি বিনিয়োগকারী সংস্থাও কলকাতায় হাজির থাকবে। যে সংস্থাগুলি কলকাতায় নয়া ব্যবসায় সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাহায্যপ্রাপ্ত ‘মুভিং কলকাতা, কলকাতা মুভিং’ প্রকল্পের সূচনা করা হবে।