নাক-মুখ দিয়ে পড়ছে রক্ত, বাড়ির পিছনে উদ্ধার তরুণীর ঝুলন্ত দেহ! বর্ধমানে চাঞ্চল্য

নাক-মুখ দিয়ে পড়ছে রক্ত, বাড়ির পিছনে উদ্ধার তরুণীর ঝুলন্ত দেহ! বর্ধমানে চাঞ্চল্য

#পূর্ব বর্ধমান: নাক ও মুখ দিয়ে গড়িয়ে পড়েছে রক্ত। দুই পায়ের চেটোতেও লেগে রয়েছে রক্তের দাগ। এমন অবস্থাতেই বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হল দড়ি দিয়ে দুই পা বাঁধা ও গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নারায়নপুর গ্রামে। খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়।

তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এদিনই পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তরুণীর মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা, নাকি খুন, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পুলিশ তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর বাড়ি জামালপুর থানার জাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রামে।

তাদের পরিবারটি দরিদ্র। পাঁচ ভাই ও তিন বনের মধ্যে মৃতা সবার ছোট। বেশ কয়েক বছর আগেই সে পড়াশুনায় ইতি টেনেছে। মৃতার বড় বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দুই ভাই থাকেন গ্রামের বাড়িতে। বাবাও থাকেন অন্যত্র। দুই ভাই গ্রামে সামান্য কিছু জমি চাষ করেন। এই দুই ভাই-সহ অপর ভাইয়েরা সামান্য টুকু রোজগার করেন তা দিয়েই তাদের সংসার চলে। বাড়িতে ভাই-বোনেদের মধ্যে কোন ঝগড়া অশান্তিও ছিলনা বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও তরুণীর এমন পরণতি হল সেটাই বুঝে পাচ্ছেন না প্রতিবেশী ও পরিজনরা। তাই সবাই দুলালীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন।মৃতার এক দাদা অরুপ মালিক বলেন, অন্য দিনের মতো এদিনিও অপর বোনের সঙ্গে বোন ঘরে শুতে যায়।
রবিবার সকালে পরিবারের অপর সদস্যরা দেখেন গালায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই ঘরের পিছনের দিকে কার্নিশে ঝুলছে বোন। দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তার দুটি পা ঠেকে আছে বাড়ির পাঁচিলে। তরুণীর দুই পায়ের চেটোতে যেমন রক্তের দাগ ছিল তেমনই তার নাক ও মুখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তও স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছিল। অরূপ মালিক এও বলেন, ‘আমি আমার বোনের এহেন মৃত্যুর কী কারণ থাকতে পারে তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে অসুখের কারণে দিন কয়েক আগে বাড়ির একটি পোষ্য ছাগলের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই বোন খুব কান্নাকাটি করছিল। ঠিক মতো খাচ্ছিল না। একমাত্র পুলিশই তদন্ত করে বোনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে পারে বলে অরুপ মালিক জানিয়েছেন।’

(Feed Source: news18.com)