৭ জন ড্রাইভার মিলে চালাল ১০০ বগির বিশ্বের ‘সবচেয়ে লম্বা ট্রেন’

৭ জন ড্রাইভার মিলে চালাল ১০০ বগির বিশ্বের ‘সবচেয়ে লম্বা ট্রেন’

#কলকাতা: ভারতীয় রেলকে দেশের পরিবহণ ক্ষেত্রের জীবনরেখা বলা হয়। ব্রিটিশ আমল থেকে ক্রমে ক্রমে ভারতীয় আম জনতার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠেছে রেল। সারা বিশ্বে ভারতীয় রেল এক বিশিষ্ট্য চরিত্র নিয়ে উপস্থাপিত হয়। তবে শুধু ভারতই নয়। আমেরিকা, চিন ও রাশিয়াও রেলের ক্ষেত্রে নানা নজির রাখে। কিন্তু এই সব দেশকে পিছনে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়েছে সুইজারল্যান্ড।

সুইজারল্যান্ডে রেল পরিচালনাকারী একটি বেসরকারি সংস্থা দাবি করেছে যে এটি বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন চালিয়েছে। তাদের দাবি অনুসারে, এই ট্রেনটি প্রায় ২ কিলোমিটার বা ৬,২৫৩ ফুট লম্বা এবং এতে রয়েছে ১০০টি কোচ। মোট আসন সংখ্যা ৪৫৫০। এতে ২৫টি ক্যাপ্রিকর্ন রেলকার যুক্ত করা হয়েছে। সাত জন চালককে এই রেল গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতে হয়। বলা হচ্ছে এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম ন্যারোগেজ যাত্রীবাহী ট্রেন।

১ ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা:
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ট্রেনটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ রুটে লাবুলা টানেল থেকে ফিলিসুরের ল্যান্ডওয়াসার ভায়াডাক্ট পর্যন্ত চলছে। ১ ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেতে পারছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একজন কর্মকর্তাও দীর্ঘতম ন্যারোগেজ যাত্রীবাহী ট্রেন হওয়ার দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই ট্রেনটি তৈরি করেছে The Rhaetian Railway Company। সুইস রেলের ১৭৫ তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য এই ট্রেনটি চালানো হয়েছে। পর্যটকদের সুইজারল্যান্ডের সুন্দর উপত্যকাগুলো সফর করানোর জন্যই এই বিশেষ ট্রেন চালান হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। রাইতিয়ান রেলওয়ের সিইও এই ট্রেনটি সম্পর্কে বলেন, সুইজারল্যান্ডের সুন্দর উপত্যকা, ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই এই ট্রেন চালানো হয়েছে।

পুরোন রেকর্ড:
এর আগে বিশ্বের দীর্ঘতম ন্যারোগেজ যাত্রীবাহী ট্রেনের রেকর্ড ছিল বেলজিয়ামের কাছে। অনেক মালবাহী ট্রেন রয়েছে, যেগুলি এই ট্রেনের চেয়ে অনেক বেশি লম্বা কিন্তু সে গুলি চওড়া ট্র্যাকে চলে। অনেক মালবাহী ট্রেন ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে থাকে। ২৫০ থেকে ৩৫০ কোচও থাকে। কিন্তু এই রেকর্ড যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য।

করোনায় ক্ষতি
সুইজারল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। সে দেশের রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন যে কোভিড ১৯-এর কারণে পর্যটন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে দেশে। রেলের আয়ও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে। করোনার প্রভাব কম হওয়ায় পর্যটন ব্যবসার পালে আবার হাওয়া লেগেছে। এই ট্রেনের কারণে পর্যটন আরও চাঙ্গা হবে বলে তাঁদের আশা। রেলের আয়ও বাড়বে বলে আশা করেন তাঁরা। তবে এই সাফল্য একদিনে আসেনি। সুইজারল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরেই এই বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করছিল।

(Feed Source: news18.com)