জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোশ্যাল-মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্যুইটারে প্রায় ৩,৭০০ ছাঁটাই করেছেন এলন মাস্ক। তাঁর এই পরিকল্পনার পরে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তার সংস্থার কর্মীদের অর্ধেক সংখ্যক কর্মীকে যথেষ্ট নোটিশ না দিয়েই ছাঁটাই করা হয়েছে যার ফলে সংস্থাটি ফেডারেল এবং ক্যালিফোর্নিয়ার আইন লঙ্ঘন করছে। বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে একটি ক্লাস-অ্যাকশন মামলা দায়ের করা হয়।
ট্যুইটার শুক্রবার কর্মীদের ছাঁটাই শুরু করার পরিকল্পনা করেছে। সংস্থাটি কর্মীদের কাছে একটি ইমেল করে এই কথা জানিয়েছে। মাস্ক গত মাসে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেন এই প্ল্যাটফর্ম। এর পরেই ট্যুইটারের খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ফেডারেল ওয়ার্কার অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড রিট্রেনিং নোটিফিকেশন অ্যাক্ট বৃহৎ কোম্পানিগুলিকে অন্তত ৬০ দিনের আগাম নোটিশ ছাড়াই গণ ছাঁটাই করা থেকে আটকায়।
ট্যুইটার তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি বলে জানা গিয়েছে।
মামলাটি আদালতকে একটি আদেশ জারি করতে বলে যাতে ট্যুইটারকে ডব্লিউএআরএন অ্যাক্ট মেনে চলে।
বৃহস্পতিবারের অভিযোগকারী অ্যাটর্নি শ্যানন লিস-রিওর্ডান বলেন, ‘আমরা আজ রাতে এই মামলা দায়ের করেছি যাতে কর্মচারীরা সচেতন হয় এবং তারা তাদের অধিকার ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সই না করে এবং জানে যে তাদের অধিকার রক্ষা করার একটি উপায় রয়েছে।‘
লিস-রিওর্ডান জুন মাসে একই ধরনের ঘটনার জন্য টেসলার বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই সময় মাস্কের নেতৃত্বে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা তার কর্মী সংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ কে ছাঁটাই করে।
টেসলা, অস্টিনের একজন ফেডারেল বিচারকের কাছ থেকে একটি রায় জিতেছিল। সেখানে বলা হয় যে মামলায় শ্রমিকদের তাদের দাবি খোলা আদালতের পরিবর্তে বন্ধ দরজার পিছনে হওয়া সালিসিতে মামলা চালিয়ে যেতে হবে।
জুন মাসে কাতার ইকোনমিক ফোরামে ব্লুমবার্গের এডিটর-ইন-চিফ জন মিকলথওয়েটের সঙ্গে আলোচনার সময় মাস্ক টেসলার মামলাটিকে ‘তুচ্ছ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।
লিস-রিওর্ডান মাস্ক সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমরা এখন দেখব যে তিনি এই দেশের আইন বুড়ো আঙুল দিয়ে যাচ্ছেন কিনা যা কর্মীদের সুরক্ষা দেয়’। তিনি আরও বলেন ‘দেখা যাচ্ছে যে তিনি টেসলায় যা করেছিলেন সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছেন।‘
(Feed Source: zeenews.com)