বিলিয়নেয়ার থেকে রাতারাতি পথের ‘ভিখারি’! এর আগে কেউ একদিনে এত টাকা হারায়নি!

বিলিয়নেয়ার থেকে রাতারাতি পথের ‘ভিখারি’! এর আগে কেউ একদিনে এত টাকা হারায়নি!

#কলকাতা : রাতারাতি ধনী হওয়ার গল্প অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোটিপতি থেকে পথের ভিখারি হয়েছেন, জানা আছে কি? এমনটাই ঘটল ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্সের সিইও স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রাইড-এর সঙ্গে। একদিনে তাঁর মোট সম্পত্তির ৯৪ শতাংশ উধাও হয়ে গিয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনও বিলিয়নেয়র রাতারাতি এত সম্পদ হারাননি।

ব্লুমবার্গকে উদ্ধৃত করে মানিকন্ট্রোলে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রাইড-এর মোট সম্পদ মাত্র ৯৯১.৫ মিলিয়ন ডলার। স্যামের বয়স মাত্র ৩০ বছর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বিনান্স এফটিএক্স কিনতে চলেছে ঘোষণা করার পরই হু-হু করে কমতে থাকে স্যামের সম্পদ।

বিনান্সের সঙ্গে চুক্তির পরই দেউলিয়া: বিনান্সের সিইও চ্যাংপেং ঝাও ট্যুইটে লিখেছেন, তাঁর কোম্পানি এফটিএক্স কেনার উদ্দেশ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বিনান্সের সিইও এও জানিয়েছেন, এই চুক্তি বাধ্যতামূলক নয়। অর্থাৎ বিনান্স চাইলে পরে এটা প্রত্যাহারও করতে পারে।

কয়েনডেস্কের খবর অনুযায়ী, এফটিএক্স অধিগ্রহণের খবর ছড়িয়ে পড়ার আগে স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রাইডের আনুমানিক নেট মূল্য ছিল ১৫.২ বিলিয়ন ডলার। খবরটি আসার পর, রাতারাতি তাঁর সম্পদ থেকে প্রায় ১৪.৬ বিলিয়ন ডলার কার্যত উধাও হয়েছে গিয়েছে। মাত্র ৩০ বছর বয়সী বিলিয়নেয়ারের কাছে এটা বড় ধাক্কা সন্দেহ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এসবিএফ (নামের সংক্ষিপ্ত রূপ) নামে পরিচিত। এত কম বয়সে তাঁর উপার্জন দেখে ফরচুন ম্যাগাজিন তাঁকে আগামীদিনের ওয়ারেন বাফেট আখ্যা দিয়েছিল।

আমি গরিব হতে চাই: কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে স্যাম বলেছিলেন, এই বিপুল সম্পত্তি তিনি মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে চান। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁর পকেটে যদি কানাকড়িও না থাকে তাহলেও কিছু যায় আসবে না। বিলিয়নেয়ার হওয়ার পরেও তিনি একটি করোলা গাড়ি চালান। রবিনহুড তাঁর আদর্শ। স্যাম অন্যদের সাহায্য করেই সুখী হতে চান।

বিলিয়নেয়ার থেকে রাতারাতি গরিব হয়ে যাওয়ার এমন খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কেউ স্যামকে সমবেদনা জানাচ্ছেন। কেউ বলছেন, সবটাই সাজানো। কেউ কেউ আবার পুরনো খবরের স্ক্রিনশট পোস্ট করে লিখেছেন, ‘মিশন সাকসেসফুল’।

ক্রিপ্টোকারেন্সির পাবলিক ফেস: স্যাম ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গ্র্যাজুয়েট। তাঁর পিতা স্ট্যানফোর্ড ল স্কুলের অধ্যাপক। মধ্যবিত্ত পরিবার। ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে পা দেবার আগে ওয়াল স্ট্রিটে ব্রোকার হিসেবে কাজ করেছেন। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, স্যাম নিরামিষাশী, রাতে মাত্র ৪ ঘণ্টা ঘুমোন। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই সাধারণ ছেলেটিই ক্রমশ হয়ে ওঠেন ক্রিপ্টোকারেন্সির পাবলিক ফেস।

(Feed Source: news18.com)