এইচআইভি আক্রান্তের কিডনি প্রতিস্থাপন! অসম্ভবকে সম্ভব করলেন চিকিৎসক প্রতীক দাস

এইচআইভি আক্রান্তের কিডনি প্রতিস্থাপন! অসম্ভবকে সম্ভব করলেন চিকিৎসক প্রতীক দাস

#কলকাতা:  শহরের এক বেসরকারি হাসপাতাল বিরল অস্ত্রোপচার করে প্রাণ বাঁচাল এক বিদেশি নাগরিকের। দক্ষিণ কলকাতার আরএন টেগোর হাসপাতাল অসম্ভবকে সম্ভব করল। এইচআইভি আক্রান্ত, ঘানা থেকে আগত বিদেশি এক নাগরিকের কিডনি প্রতিস্থাপন করে প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসক প্রতীক দাস। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই ঘটনা নজিরবিহীন বলেই দাবি হাসপাতালের।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, পশ্চিম আফ্রিকার ঘানার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির বয়স ৫১ বছর। পেশাগত দিক থেকে তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। কিডনির সমস্যার চিকিৎসার জন্যে চলতি বছর মার্চ মাসে ভারতে এসেছিলেন। দু’মাস আগে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন মুকুন্দপুরের আরএনটেগোর হাসপাতালে। প্রথমত ওই রোগী এইচআইভি আক্রান্ত ও দ্বিতীয়ত কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন অবিলম্বে। পাশাপাশি ওই রোগীর একমাত্র আত্মীয় তাঁর ভাই, কিন্তু ভাইয়ের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে মিল নেই তাঁর। যার জেরে আরও জটিল হয়ে পড়েছিল পরিস্থিতি। ফলে দু’মাস ধরে চলেছিল বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা। সেই ভিত্তিতেই শুরু হয়েছিল তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা।

অবশেষে ২৭ অক্টোবর ওই ব্যক্তির কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। ভিন্ন রক্ত থাকা সত্ত্বেও ভাইয়ের কিডনিতেই জীবন ফিরে পান ঘানা থেকে আগত ওই রোগী। ওই রোগী জানান, “বর্তমানে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ৷ তবে পেলভিসে এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। চিকিৎসক প্রতীক দাস ও তাঁর সহকারীরা আমায় যে ভাবে সুস্থ করে তুললেন তাতে আমি যথেষ্ট খুশি।” কিডনি দাতা ওরফে তাঁর ভাই জানান, “দাদাকে যে সমস্যা নিয়ে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম, এখন সেই ভয়টা কেটে গিয়েছে। এটা ভেবেই স্বস্তি লাগছে যে ও এখন অনেকটা সুস্থ ও স্বাভাবিক।”

আর এন টেগোর হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসক প্রতীক দাস জানান, ‘‘যে অবস্থায় ও এসেছিলেন, সেখান থেকে তিনি এখন অনেকটা সুস্থ। আমরা ওঁর এইচএইভি চিকিৎসার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিডনির ওষুধের ব্যবস্থা করেছি। আর বেশ কয়েকবার ওঁকে আমরা দেখব। তারপর উনি চাইলেই নিজের দেশে ফিরে যেতে পারেন।’’ অসম্ভবকে সম্ভব ও ক্রমে সুস্থ হয়ে ওঠার জেরে আনন্দের ছাপ রোগীর মুখে। অন্য দিকে যার হাত দিয়ে সম্ভব হয়েছে এই জটিল অস্ত্রোপচার করে তাঁর মুখেও রয়েছে স্বস্তির হাসি।

(Feed Source: news18.com)