কলকাতা: চোখের সামনে যা রয়েছে, তা অনেকে দেখতেই পান না। অনেক সময় চোখে দেখা জিনিসও মানুষ ভুল বোঝে, বিভ্রান্ত হয়। আর এ সবই হয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। মস্তিষ্কে যেমন ইঙ্গিত পাঠিয়ে দেয় স্নায়ুতন্ত্র, আমরা তেমনই দেখি। দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেলেই আমূল বদলে যেতে পারে গোটা পরিস্থিতিটাই।
খুব সচেতন ভাবেই দৃষ্টি বিভ্রম সৃষ্টিকারী ছবি তৈরি করা হয়। একটি দৃষ্টিবিভ্রম সৃষ্টিকারী ছবিতে এমন কিছু দেখানো হয় যা কোনও ব্যক্তির চোখকে চালিত করে। সেখানে আসলে যা আছে ওই ব্যক্তি তার বাইরে কিছু দেখতে পান।
অপটিক্যাল ইলিউশন বা দৃষ্টি বিভ্রম সম্পর্কে সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হল এটি সব সময় যে সচেতন ভাবে তৈরি করা হয়, তা-ও নয়। বিভিন্ন আকার, চেহারা এবং অবস্থায় এরা আমাদের চারপাশেই থাকে। শুধু দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণেই তারা আলাদা হয়ে যায়।
এখানে এমনই একটি চিত্র রয়েছে, যা মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক গোপন তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চিত্রটিতে কোনও ব্যক্তি প্রথমে যা দেখেন তা তাঁর ব্যক্তিত্বের সবচেয়ে খারাপ বৈশিষ্ট্যগুলি প্রতিফলিত করে।
রঙিন এই চিত্রকলাটি আসলে একটি ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা। এর লক্ষ্য হল দর্শকের বিভিন্ন চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বোঝানো।
এক নজরে দেখলে ছবিটিকে বেশ সাধারণ বলে মনে হয়। বেশির ভাগ মানুষই একটি সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্যে একজন মহিলাকে দেখতে পান। কেউ দেখতে পান একটি নদী, একটি সেতু এবং একটি নৌকা দেখতে পাবেন।
একেবারে প্রথমে কোনও ব্যক্তি কী দেখছেন তার উপর নির্ভর করছে তাঁর ব্যক্তিত্ব।
১. যদি প্রথমেই একজন মহিলাকে দেখা যায়, তবে ধরে নিতে হবে দর্শকের চরিত্রের সব থেকে খারাপ দিক হল তাঁর বাহ্যিক চেহারার প্রতি আকর্ষণ। সেই ব্যক্তি যে সকলকে চেহারা দিয়ে বিচার করেন এমনটা নাও হতে পারে। হতে পারে তিনি নিজেই নিজের চেহারা নিয়ে বিব্রত বা অতিরিক্ত ভাবনা-চিন্তা করেন।
২. যদি কেউ নদীর উপর সেতুটি প্রথম দেখেন তবে তাঁর মধ্যে সহানুভূতির অভাব রয়েছে বলে ধরা হয়। যদিও এর অর্থ এই নয় যে ওই ব্যক্তি উদাসীন। বরং এমনও হতে পারে যে তিনি অপরের জীবনে আগ্রহ দেখানোকে নিজের জীবনে খুব একটা অগ্রাধিকার দেন না।
৩. যদি কেউ প্রথমে নদীটি দেখেন তবে আপনি তিনি সম্ভবত এমন একজন মানুষ যিনি নিজের সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে খুবই ভাবিত।
৪. যদি কারও চোখ প্রথমে নৌকাটির ওপরে পড়ে, তা হলে ধরে নিতে হয় তিনি অন্য যে কোনও বিষয়ের থেকে নিজেকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেন। এটি খুবই ভাল অভ্যাস এক অর্থে। তবে সব সময় তা ভাল প্রতিপন্ন নাও হতে পারে।