Covid In China: একদিনেই আক্রান্ত ১৫ হাজার! করোনার চোখরাঙানিতে ফের লকডাউন?

Covid In China: একদিনেই আক্রান্ত ১৫ হাজার! করোনার চোখরাঙানিতে ফের লকডাউন?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা-সংক্রমণ। শীতের শুরুতেই সেখানে করোনাচিত্র ক্রমশ বড় আকার ধারণ করছে। আর তারই হাত ধরে সেখানে নতুন করে লকডাউনের আশঙ্কা। অবশ্য আশঙ্কা সত্য করে চিনের কিছু কিছু প্রদেশে এখনই ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। চিনে একদিনে প্রায় ১৫ হাজার করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে! করোনার হাত থেকে চিনের রেহাই মিলছে না কোনও ভাবেই। চিনে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,৮৭৮ জন; এঁদের মধ্যে ১,৭১১ জন সিম্পটোম্যাটিক, ১৩,১৬৭ জন আসিম্পটোম্যাটিক। বেজিংয়ের সংক্রমণ নিয়েও ভাবাচ্ছে সে দেশের সরকারকে।

এর আগেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ চিনের গুয়াংঝৌ প্রদেশে লকডাউন ঘোষণা করে জি জিনপিংয়ের দেশ। গুয়াংঝৌ প্রদেশকে চিনের উৎপাদনকেন্দ্র বলা হয়। সেখানে আবারও লকডাউন চালু হওয়ায় উৎপাদন সাময়িক ধাক্ক খায়। এর জেরে চিনের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি আবারও ধাক্কা খাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুয়াংঝৌ ছোট এলাকা– মাত্র এক কোটি তিরিশ লক্ষ জনসংখ্যা এর। সেখানে বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার পরেই আকস্মিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত সেখানে। ওই প্রদেশের আধিকারিকরা স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। গুয়াংঝৌ থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বেজিং-সহ অন্যান্য বড় শহরগামী বিমান পরিষেবা!

ইদানীং করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় এবং মৃত্যুসংখ্যাও প্রায় শূন্য হয়ে যাওয়ায় বিশ্বের সব দেশই কোভিডবিধি শিথিল করেছে। তবে চিন তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। কোনও ভাবেই কোভিডবিধি শিথিল করতে রাজি নয় তারা। বারবার এই বিধিনিষেধ আরোপের ফলে স্থানীয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রায়শই বিবাদ বেধেছে চিনের সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি আধিকারিকদের। যেমন কিছুদিন আগেই লাসার বাসিন্দাদের সঙ্গে বিরোধ বেধেছিল চিনের প্রশাসনিক আধিকারিকদের। লাসার বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক ভাবে লকডাউনের দিকে ঠেলে দিয়েছে চিন। তাদের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে।  তাই তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিডবিধি শিথিল করে নেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি। এমনকি করোনা টিকা আমদানি করতেও অস্বীকার করেছে তারা। তা হলে, এভাবে কি করোনার অন্ধগলির মধ্যেই ঘুরপাক খাবে চিনের সাধারণ মানুষের জীবন? আপাতত দেখার নতুন করে বড় হতে থাকা এই করোনা-পরিস্থিতি কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চিন।

(Feed Source: zeenews.com)