#কলকাতা: অর্থনীতির আকাশে মন্দার মেঘ। বেশ কিছু আইটি এবং প্রযুক্তি সংস্থা কয়েক হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। এখন সেই সব কর্মীদের সংসার চলবে কী করে? কোথা থেকে জুটবে পেটের ভাত? রইল কিছু দরকারি টিপস।
কেউ চায় না কোম্পানি তাকে বরখাস্ত করুক। কিন্তু সেটাই হয়। কোম্পানির মুনাফা কমতে শুরু করলেই নেমে আসে ছাঁটাইয়ের খাঁড়া। কর্পোরেট জগতের তিক্ত সত্য এটাই। ট্যুইটার এবং মেটার মতো বহু কোম্পানি চাকরি ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে।
প্রত্যেক চাকরিজীবী তাঁর বেতন অনুযায়ী খরচ করেন। কেউ কিস্তিতে ফ্ল্যাট কেনেন, কেউ গাড়ি কেউ অন্য কিছু। তাই চাকরি হারালে কর্মীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়াটাই স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।
খরচের তালিকা: সময় যখন ভাল যায় তখন কোথায় টাকা খরচ হচ্ছে কেউ দেখে না। বাড়ি-গাড়ির মাসিক কিস্তি, ভাড়া, রেস্তোরাঁয় ডিনার, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘোরাঘুরিসহ আরও অনেক কিছুর পিছনেই টাকা খরচ হয়। চাকরি গেলে সবার আগে একটা তালিকা করতে হবে। দেখতে হবে কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে। সেটা প্রথমেই বন্ধ করতে হবে।
খরচ কমাতে হবে: অযথা খরচ কমাতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় চলবে না। তালিকা হয়ে গেলে সেই অনুযায়ী খরচ কমাতে হবে।
সস্তার খোঁজ: চাকরি থাকলে মানুষ খরচ করে। নামী রেস্তোরাঁয় যায়। সপ্তাহান্তে ভাল জায়গায় ছুটি কাটায়। এটা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু চাকরি হারালে এটা সম্ভবও নয়। তাই সস্তায় খাওয়া এবং ঘোরাঘুরির জায়গা খুঁজে বের করা উচিত। বাইরে খাওয়াদাওয়া কমানোও যায়। মাসে ৪ বার বাইরে খাবার পরিবর্তে ২ বার করতে হবে।
বড় খরচ এড়াতে হবে: নতুন কাজ না পাওয়া পর্যন্ত বড় খরচের পরিকল্পনা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। নতুন গাড়ি বা বড় টিভি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আপাতত থাক।
পার্ট টাইম কাজ: চাকরি চলে গেলে খরচ মেটানোর জন্য পার্ট টাইম কাজ খোঁজা উচিত। তবে সেই কাজ করার ফাঁকে ফাঁকেই বেশি করে চাকরি খুঁজতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, পার্ট টাইম চাকরি করার সময়েও প্রধান কাজ হওয়া উচিত একটা নতুন চাকরি খোঁজা।