ইদানিং দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মানুষ মানসিক অবসাদে ভুগছেন। আর তা থেকে বেড়ে যাচ্ছে আত্মহত্যা। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করলেন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য টেলি–মেডিসিন পরিষেবা। একটি বিশেষ নম্বর চালু করেছেন তিনি। সেখানে ফোন করে মিলবে সমস্যার সমাধান। ইতিমধ্যেই দেশের মধ্যে টেলি–মেডিসিন পরিষেবায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। এবার সেই পরিষেবা নিয়ে আসা হল মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার বিষয়েও।
কোন নম্বরে মিলবে পরিষেবা? মানসিক সমস্যার সমাধান পেতে ১৮০০৮৯১৪৪১৬ নম্বরে ফোন করতে হবে। তবেই মিলবে পরিষেবা। এখানে ৪০ জন কাউন্সেলার থাকছে। আর থাকছে ২৫ জন চিকিৎসক। তাঁরাই ফোন পেয়ে উপযুক্ত পরামর্শ দেবেন। তাতে মানসিকভাবে যাঁরা সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপকৃত হবেন। এই টেলি–মেডিসিন পরিষেবাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন বলে জানান মানসিক স্বাস্থ্যের রাজ্য পরামর্শদাতা প্রদীপ সাহা।
উল্লেখ্য, কোভিডের ভয়ঙ্কর সময়ে যখন উত্তরপ্রদেশ–সহ দেশের বেশিরভাগ রাজ্য রীতিমতো দিশাহীন অবস্থায় ছিল তখন বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার টেলি–মেডিসিনের মধ্যেম দিয়ে কোটি কোটি মানুষকে পরিষেবা দিয়েছে। মহামারি পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছিল। এবার সেটাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া মানুষদের জন্য চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরবর্তী সময়েও চালু রয়েছে টেলিমেডিসিন পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রীতিমতো কন্ট্রোল রুম খুলে চিকিৎসকদের টিম তৈরি করেছিল স্বাস্থ্য ভবন।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই গোটা বিষয়টি নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের রাজ্য পরামর্শদাতা প্রদীপ সাহা বলেন, ‘এই পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘টেলি–মানস’। এখানে কোনও পরিবারের পক্ষ থেকে একবার ফোন এলে তাঁদের উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়া হবে। এমনকী জরুরি প্রয়োজনে কাছাকাছি সাইক্রিয়াটিস্ট পর্যন্ত ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এই টেলি–মেডিসিন পরিষেবা বাড়িতে বসেই মিলবে এবং দ্রুত সমাধান হবে সমস্যার।’
Feed Source: hindustantimes.com)