ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ঘিরে ক্রমেই উদ্বেগ ছড়াচ্ছে রাজ্য জুড়ে। কলকাতার পাশাপাশি জেলাস্তরেও পরিস্থিতি সংকটজনক বলে দাবি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা কীভাবে হবে তা নিয়ে চর্চা চলছে পুরোদমে। সেই পরিস্থিতিতে এবার ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।
এদিকে নির্দেশিকায় ফিভার ক্লিনিকের উপর পুরোমাত্রায় জোর দেওয়া হয়েছে। কারা জ্বর নিয়ে আসছেন তাঁদের সম্পর্কে তথ্য় লিখে রাখার কথা বলা হচ্ছে। কারণ পরবর্তী সময়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ যাতে করা যায়।
এর সঙ্গেই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালে যে ডেঙ্গি রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন তাঁদের রক্তপরীক্ষার একটা তাৎক্ষণিক রিপোর্ট দিতে হবে। কারণ যাতে তাঁর চিকিৎসা যথাযথভাবে করা যায়। পাশাপাশি সহকারি সুপার পদমর্যাদার একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য নিযুক্ত থাকবেন।
অন্য়দিকে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টার ল্যাব পরিষেবার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে। নার্সিং পরিষবা যাতে যথাযথ থাকে সেটা বার বার পর্যালোচনা করতে হবে। ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে। কিন্তু অনেকের মতে এই পয়েন্টটি বাস্তবে কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই গিয়েছে। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, কোভিডের মতোই ডেঙ্গি রোগীর প্রকৃত সংখ্যা চেপে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে সরকারের তরফে অবশ্য় এই অভিযোগ মানা হয়নি।
পতঙ্গবিদরা যাতে সক্রিয় থাকেন, হাসপাতালে ডেঙ্গি সচেতনতামূলক পোস্টার রাখতে হবে। এদিকে ডেঙ্গি রোগীদের পরিস্থিতির অবনতি হলে যাতে প্লেটলেট দেওয়া যায় সেকারণে তার যোগান যথাযথ রাখতে হবে।