বন্ধুদের হাতে র্যাগিংয়ের শিকার হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী এক ছাত্র। এই ঘটনায় গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এই অভিযোগ পৌঁছে যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে বিষয়টি থানাকে জানিয়ে দেয়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। এমনকী এই খবর চাউর হতেই বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের যে সংগঠন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে, তারা প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে।
ঠিক কী ঘটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, নিগৃহীত এই ছাত্রের নাম বুদ্ধদেব জানা। তিনি সাহায্য চাইতে বন্ধুদের কাছে গিয়েছিলেন। আর তাঁকে সাহায্য করার পরিবর্তে র্যাগিং করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক’ নিয়ে পড়াশোনা করেন। তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বুদ্ধদেব আগে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমিতে পড়তেন। জুডো শিখেছেন। ২০১৯ সালে কমনওয়েলথ প্যারা জুডো চ্যাম্পিয়নশিপে বার্মিংহ্যামে দেশের হয়ে ব্রোঞ্জ জিতে এনেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘নিগ্রহের সময় আমি শুধু আত্মরক্ষা করেছিলাম। নিজের হাতে আইন নিতে চাইনি।’
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, বুদ্ধদেবের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছিল গত ৭ নভেম্বর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ ব্লক হস্টেলে তিনি গিয়েছিলেন। কারণ ৯ নভেম্বর ক্লাসের একটি পরীক্ষা ছিল বুদ্ধদেবের। সেই পরীক্ষায় তাঁর হয়ে লেখার জন্য একজন রাইটারের খোঁজ করতে গিয়েছিলেন। তিনি চোখে খুব ভাল দেখেন না। তখনই তাঁকে র্যাগিং করা হয়। এই ঘটনার পর উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করেন বুদ্ধদেব। যাদবপুর থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ঠিক কী বলছেন বুদ্ধদেব? এই ঘটনা নিয়ে ছাত্র বুদ্ধদেব জানা বলেন, ‘নিউ ব্লক হোস্টেলে এসেছিলেন ওই প্রাক্তনী। হঠাৎ তিনি নাম জিজ্ঞাসা করে আমার দিকে এগিয়ে আসেন। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। আমি ওঁকে সরে যেতে বললে আমায় মারার চেষ্টা করেন। আমি শুধু হাত দিয়ে আত্মরক্ষা করি। তাতে চটে গিয়ে তিনি ধাক্কা দেন। নিগ্রহ করেন। হুমকিও দেন।’
(Feed Source: hindustantimes.com)