#কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন সি ভি আনন্দ বোস। জগদীশ ধনকড়ের পর তিনিই স্থায়ী রাজ্যপাল। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে রাজ্যের রাজ্যপালের পদ ছাড়েন জগদীপ ধনখড়। তারপর লা গণেশনকে রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপাল করা হয়। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘সি ভি আনন্দ বোসকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করা হল। তিনি যে দিন থেকে দায়িত্ব নেবেন সেদিন থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।’’
দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন আনন্দ। প্রাক্তন আইএএস আধিকারিক এবং সম্প্রতি মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা আনন্দের জন্ম কেরলের কোট্টায়ামে। ১৯৫১ সালে ২ জানুয়ারি। পদবি শুনে বাঙালি মনে হলেও তিনি আদতে বাঙালি নন। দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে বোস নাম রাখার রেওয়াজ আছে। সম্ভবত সেই কারণেই তাঁর পদবি বোস। সম্প্রতি তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে মন্তব্যের পর রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল লা গনেশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই রাজ্যপাল বদল করা হল।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং স্থায়ী রাজ্যপাল নিয়োগকে একই সারিতে বসিয়ে দেখছেন অনেকে। এদিকে সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুসম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে রাজ্যের নতুন স্থায়ী রাজ্যপালের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এ’রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেন লা গণেশন। তাঁকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ ছিল। সম্প্রতি বিজেপির শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীও গণেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল শুভেন্দুকে। রাজ ভবন থেকে বেরিয়ে তিনি রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। অন্য দিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গত কয়েকদিনেই সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল গণেশনের। কালীপুজোয় তিনি মমতার বাড়িতে গিয়েছিলেন। আবার গণেশনের দাদার জন্মদিনে চেন্নাইতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।