অশ্বিন শেনভি। রাজ্য়ের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিমের প্রধান হচ্ছেন তিনি। বিচারপরি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই কার্যত তাঁর নামটি বেছে নিয়েছেন। আসলে সিটের প্রধান হিসাবে ডিআইজি পদমর্যাদার তিনজন দক্ষ আধিকারিকের নাম চেয়েছিলেন বিচারপতি। এরপরই সিবিআইয়ের আইনজীবী তিনজনের নাম তাঁকে জানান। শুধাংশু খারে। তিনি কলকাতায় কর্মরত। মাইকেল রাজ, তিনি রাঁচিতে কর্মরত। আর চণ্ডীগড়ে কর্মরত অশ্বিন শেনভি। এই শেনভির নামটিই বেছে নেন বিচারক। তাঁর হাতেই এবার গুরু দায়িত্ব। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কতটা গতি আনতে পারবেন শেনভি সেদিকেই তাকিয়ে সবপক্ষ। বিচারপতি তাঁকে সাতদিনের মধ্যে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সিবিআইয়ের আইনজীবী এক দক্ষ আধিকারিকের নাম বলা হবে বলেও জানিয়েছিলেন। বিচারপতি জানিয়ে দেন তিনজনের নাম বলুন। সেখান থেকে বাছা হবে নাম।
বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, আমি চাই না নিয়োগ দুর্নীতির পরিণতি সারদার তদন্তের মতো হোক। তবে আদালত সূত্রে খবর, সিবিআই কর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব এখন কোথায় সেই সম্পর্কেও জানতে চান বিচারপতি। এদিকে পঙ্কজ শ্রীবাস্তব এখন আইজি পদমর্যাদার। তিনি গাজিয়াবাদে কর্মরত। সিবিআইয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রয়েছেন। তাঁকে কলকাতায় আনা যাবে না বলেও জানিয়ে দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিংহকেও সিটের মাথায় বসানোর নির্দেশ হয়েছিল। কিন্তুও সেটাও কার্যকরী করা যায়নি। এদিকে বিচারপতি চাইছিলেন ডিআইজি পদমর্যাদার এমন কোনও দক্ষ আধিকারিককে যিনি বাংলার ভূগোলটাও জানেন। শেষপর্যন্ত সিটের মাথায় বসলেন শেনভি।