ডিজিটাল রুপি কাজ করে কী ভাবে? এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি কিন্তু না-জানলেই নয়!

ডিজিটাল রুপি কাজ করে কী ভাবে? এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি কিন্তু না-জানলেই নয়!

#নয়াদিল্লি: গোটা দেশে ১ নভেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু হল ডিজিটাল রুপি। পাইকারি লেনদেনের ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল রুপি ব্যবহার করা হবে। ডিজিটাল কারেন্সি প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এটা কী এবং তা কী ভাবে কাজ করবে, সেটা বোঝাটা সকলের জন্যই অত্যন্ত জরুরি। এটা কিন্তু নোটের মতো এটা পকেটে রাখা যাবে না। কিংবা ছাপানোও হবে না। শুধু ভার্চুয়াল মাধ্যমে এটা লেনদেন করা যাবে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করাও কিন্তু বেশ সহজ। তবে সব থেকে ভাল বিষয় হল, কেন্দ্রীয় সরকার এবং আরবিআই এটাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই টাকা হারানোর ঝুঁকিও থাকছে না।ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে পাইকারি লেনদেনের জন্য ৯টি ব্যাঙ্ককে বেছে নিয়েছে আরবিআই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে, এটি সরকারি সিকিউরিটিজ অর্থাৎ সরকারি বন্ডের ক্রয় ও বিক্রয়ের নিষ্পত্তির পরিমাণ হিসাবে ব্যবহার করা হবে। শুধু তা-ই নয়, এক মাসের মধ্যে খুচরো লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে আরবিআই।

এর নাম সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি:

ক্রিপ্টোকারেন্সির ‘ফাঁদ’ থেকে বাঁচতেই নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা চালু করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর নাম সিবিডিসি বা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি। ডিজিটাল মুদ্রা পুরোদমে চালু হয়ে গেলে নগদ টাকার প্রচলন কমবে। ফলে লেনদেনের খরচও কমে যাবে। ডিজিটাল রুপিতে ফিজিক্যাল নোটের সমস্ত বৈশিষ্ট্য থাকবে। সাধারণ মানুষ ডিজিটাল মুদ্রাকে ভৌত মুদ্রায় রূপান্তর করতেও পারবেন। এখনও পর্যন্ত যা পরিকল্পনা, তার জন্য ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে না।

ডিজিটাল রুপি কী ভাবে কাজ করবে?ডিজিটাল আকারে যেমন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট চেক করা হয়, সেভাবেই ডিজিটাল রুপিও দেখা যাবে। আপাতত দুই রকম ভাবে এটা চালু করা হচ্ছে। যথা – বড় লেনদেনের জন্য, যা ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। এক মাসের মধ্যে সাধারণ মানুষ খুচরো ডিজিটাল রুপির সাহায্যে খুচরো লেনদেনও করতে পারবেন। সিবিডিসি ব্লককচেন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। কাগজের মুদ্রার মতো আইনি টেন্ডারও হবে। কাউকে পাঠাতে চাইলে তাঁর অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। সিবিডিসি ইলেকট্রনিক আকারে অ্যাকাউন্টে যাবে। এতে লেনদেন হবে নগদ অর্থের তুলনায় সহজ এবং নিরাপদ। তবে কাজ করবে নগদ টাকার মতোই। শুধু প্রযুক্তির মাধ্যমেই লেনদেন সম্পন্ন হবে। এক রকম ভাবে একে ইলেকট্রনিক ক্যাশ বলা যেতেই পারে।

ডিজিটাল রুপি সাধারণত দুই ধরনের হবে। লেনদেনের জন্য একটি বড় অঙ্ক থাকবে, যার নাম হবে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি হোলসেল। এটি ব্যাঙ্ক, বড় নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কোম্পানি এবং অন্যান্য বড় লেনদেন প্রতিষ্ঠান-সহ বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যবহার করতে পারবে। এর বাইরে খুচরো লেনদেনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি রিটেল নিয়ে আসবে। প্রতি দিনের লেনদেনে এটা ব্যবহার করা হবে। তার পর সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দরকারে এর বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করা হবে।ডিজিটাল রুপিকে ইউপিআই-এর সঙ্গেও যোগ করা হবে। এটা ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক। এর সাহায্যে সাধারণ মানুষ পেটিএম, ফোনপে-র মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ওয়ালেটগুলির মাধ্যমেও লেনদেন করতে পারবে। যেমন – ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০-র নোট আছে, একই মান (সম্পদ)-সহ ডিজিটাল রুপিও আসবে। এক জন ব্যক্তি কত ডিজিটাল মুদ্রা রাখতে পারবেন, তার একটা সীমাও হয়তো বেঁধে দেওয়া হতে পারে।

(Feed Source: news18.com)