তামিলনাডু-অরুণাচল ম্যাচে একাধিক বিশ্বরেকর্ড

তামিলনাডু-অরুণাচল ম্যাচে একাধিক বিশ্বরেকর্ড

বেঙ্গালুরু: ঘরোয়া ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড। ১৪১ বলে ২৭৭ রান। বিজয় হাজারে ট্রফিতে তামিলনাড়ুর নায়ারণ জগদীশানের দ্বিশতরান। অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিলনাড়ু ২ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে তুলে নেয় ৫০৬ রান। যার অন্যতম কারিগর জগদীশান। ঘরোয়া ক্রিকেটে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান যে কোনও ব্যাটারের। আগে এই রেকর্ড ছিল এডি ব্রাউনের দখলে। ২০০২ সালে সারের হয়ে গ্লামোরগনের বিরুদ্ধে ১৬০ বলে ২৬৮ রান করেছিলেন তিনি।

তালিকায় তিনে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ইডেনে ২৬৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।  ২০১৮ সালে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কুইন্সল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪৮ বলে ২৫৭ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ডার্সি শর্ট।

উল্লেখ্য, অরুণাচলের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুর হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন জগদীশান ও সাই সুদর্শন। ২ জনেই ৪১৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। নিজের ইনিংসে ২৫টি বাউন্ডারি ও ১৫টি ছক্কা হাঁকান জগদীশান। ইনিংসের ৪২ তম ওভারে আউট হয়ে যান জগদীশান। সুদর্শন ১০২ বলে ১৫৪ রান করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫০৬ রান করেছে তামিলনাড়ু।

বিজয় হাজারে ট্রফি পরপর ৫ ম্যাচে শতরান হাঁকালেন জগদীশান। তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিজয় হাজারেতে পাঁচটি সেঞ্চুরি হাঁকালেন জগদীশান। ২০০৮-০৯ মরসুমে বিরাট কোহলি, ২০২১-২১ মরসুমে দেবদূত পাড়িক্কল, ২০২০-২১ মরসুমে পৃথ্বী শ ও ২০২১-২২ মরসুমে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৪টি শতরান করেছিলেন। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা চারটি শতরান হাঁকিয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন আলভিরো পিটারসেন, দেবদূত পড়িক্কল।

এদিকে বিজয় হাজারে ট্রফিতে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২৬ রান বোর্ডে তুলে নিল বাংলা। সুদীপ ঘরামি ঝোড়ো ১৬২ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে ১২২ রান করেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন শাহবাজ আহমেদ। ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২৬ রান বোর্ডে তুলে নেয় বাংলা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাল্টা লড়াই করছে সার্ভিসেস।

কাল খেলবেন না উইলিয়ামসন

আগামীকাল ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলতে নামছে নিউজিল্য়ান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে কিউয়িদের বিরুদ্ধে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। কাল ভারতের সামনে যেখানে সিরিজ জয়ের হাতছানি সেখানে নিউজিল্য়ান্ডের কাছে সিরিজ ড্র করার লড়াই। আর এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই কিউয়ি শিবির পাচ্ছে না কেন উইলিয়ামসনকে।

কেন নেই কেন?

ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। একাই ব্যাট হাতে লড়াই করেছিলেন। তাহলে এর পরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই কেন খেলছেন না কেন উইলিয়ামসন? তবে কি চোট রয়েছে তাঁর? না, আসলে চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েনমেন্ট রয়েছে উইলিয়ামসনের। তাই তিনি খেলবেন না। কেনের বদলে টিম সাউদি নেতৃত্বভার সামলাবেন।

(Feed Source: abplive.com)