জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূল পার্টি অফিস! ‘সময় বেঁধে’ ভাঙার নির্দেশ দিল আদালত

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূল পার্টি অফিস! ‘সময় বেঁধে’ ভাঙার নির্দেশ দিল আদালত

#কলকাতা: আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে হেরিটেজ ভবনকে। নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ক্যাম্পাসে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় নিয়ে এবার কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাই কোর্ট। ভাঙতে হবে দলীয় কার্যালয়। হেরিটেজ ভবনটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে, আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে হবে হেরিটেজ ভবনকে। সোমবার স্পষ্ট নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়েছে তিন সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে কলকাতা পুরসভাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে দলীয় কার্যালয় তৈরি নিয়ে বিচারপতির কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ। হেরিটেজ ভবন না হলেও, কেউ কি যেকোনও জায়গায় পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে? – সোমবার এজলাসে এমনই মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। এরপরই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠাকুরবাড়ি ক্যাম্পাসে গজিয়ে ওঠা দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে আদালতের নির্দেশ পালন করতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ ডিসেম্বর।

রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন ভেঙে বানানো হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়। এই অভিযোগেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। মামলাকারী আইনজীবী শ্রীজিব চক্রবর্তীর অভিযোগ, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চটোপাধ্যায়ের দেখা হয়েছিল, সেই ঘরে এখন তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতি নামর সংগঠনের অফিস করা হয়েছে।

অথচ এটি ‘গ্রেড ওয়ান’ হেরিটেজ। একই ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ ক্যাম্পাসেই। অভিযোগ, জোড়াসাঁকোর সেই ঘরে রবি ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটিও ছবি নেই। সেখানে টাঙানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ছবি। এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়। এরপর এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কড়া নির্দেশ দিল।

(Feed Source: news18.com)