শক্তিশালী ভূমিকম্প, পর পর আফটার শক, তছনছ ইন্দোনেশিয়ার জাভা, মৃত ১৬২, আহত ৩০০-র বেশি

শক্তিশালী ভূমিকম্প, পর পর আফটার শক, তছনছ ইন্দোনেশিয়ার জাভা, মৃত ১৬২, আহত ৩০০-র বেশি

জাকার্তা: তীব্র কম্পনে তছনছ ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia Earthquake) পশ্চিম জাভা প্রদেশ (West Java Province)। এখনও পর্যন্ত ১৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে (Death Toll)। আহতের সংখ্যাও শতাধিক। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে খবর মিলছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে সেখানে। তবে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন।

তীব্র ভূমিকম্প, পর পর আফটারশকে তছনছ জাভা

সোমবার ইন্দোশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৬। এ বার ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল চিয়াঞ্জুর পার্বত্য এলাকা, রাজধানী জাকার্তা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে। সেখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৫ লক্ষ। শুধু তীব্র ভূমিকম্পই নয়, পর পর আফটারশকও অনুভূত হয়। তাতেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

পশ্চিম জাভা প্রদেশের গভর্নর রিদওয়ান কামিল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৬২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ৩২৬ জন। বহু বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে। বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যা। সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। রাতভর চলেছে উদ্ধারকার্য। এখনও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য চলছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয়ের মধ্যে পড়ে ইন্দোনেশিয়া। অর্থাৎ ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হিসেবেই পরিচিত। ভূগর্ভের বিভিন্ন পাত সেখানে প্রায়শই ধাক্কা খায়। তার জেরেই ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা প্রায়শই সামনে আসে। তাতেই নয়া সংযোজন সোমবারের ভূমিকম্প।

ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২ হাজার ২০০ বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। ঘরছাড়া প্রায় ৫ হাজার ৩০০ মানুষ। রিদওয়ান যদিও জানিয়েছেন, ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। বহু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু সব অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। জায়গায় জায়গায় ধসও নেমেছে।

এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকে বলে খবর

আহতদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলিতে জায়গা মেলাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথাও পার্কিং লটে, কোথাও আবার তাঁবু খাটিয়ে অস্থায়ী স্বাস্থ্য শিবির গড়ে তোলা হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সের আনাগোনা চলছেই। প্রতি মুহূর্তে আহতের সংখ্যা বাড়ছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনও পর্যন্ত নির্ধারণ করা যায়নি।

(Feed Source: abplive.com)