#চণ্ডীগঢ়: দেশজুড়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নারীনির্যাতন। ২০১৯ সালের ভিত্তিতে মহিলাদের উপর নানা ধরনের হওয়া অত্যাচার সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)। যার পরিসংখ্যান শিউরে ওঠার মতো৷ ভারতে প্রতি ১৬ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে৷ প্রতি ২ ঘণ্টায় কোনও না কোনও মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়৷ প্রতি ৬ মিনিটে একজন মহিলাকে অশালীন হেনস্থা করা হয়৷ পাচার বা গণধর্ষণের মতো ঘটনাও হামেশাই হচ্ছে৷
দেশজুড়ে মহিলাদের মধ্যে যখন চরম নিরাপত্তাহীনতা, ঠিক তখনই সামনে এল হাড়হিম করা এক খবর৷ বদলে গেল পরিস্থিতি৷ উল্টে গেল ছবি৷ যা একইরকম নৃশংস, ঘৃণ্য৷ পঞ্জাবের জলন্ধরের এক শ্রমিকের অভিযোগ নাড়িয়ে দিল গোটা দেশকে৷ তাঁর দাবি, চার যুবতী তাঁকে একটি গাড়িতে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারপর চারজনে মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। শেষে চোখ-হাত বেঁধে এক নির্জন এলাকায় ফেলে দিয়ে যায়৷
নির্যাতিত শ্রমিকের অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের উদ্দেশ্যেই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, গাড়িতে থাকা চারজন মেয়ে তাঁর থেকে ঠিকানা চাওয়ার অছিলায় একটি স্লিপ দেন। স্লিপটি পড়ার সময়েই তাঁর চোখে কিছু স্প্রে করা হয়৷ যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে, তখন তিনি দেখেন তিনি একটি গাড়ির মধ্যে, তাঁর চোখ এবং হাত বাঁধা৷
পরে তাঁকে মাদক খাইয়ে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা তাঁকে মদ্যপান করতেও বাধ্য করেন৷ নিপীড়নের পরে তাঁকে একটি জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়৷ তবে তিনি পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি৷ তাঁর কথায়, তাঁর স্ত্রী তাঁকে অভিযোগ করতে দেননি৷ তিনি যে বেঁচে ফিরে এসেছেন এটাই তাঁর কাছে অনেক৷