কাবুল : আফগানিস্তানের (Afghanistan) কাবুলে (Kabul) অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসে চলল গুলি। দূতাবাস চত্বরেই হামলা চালোনা হয়। তাতে জখন হন ইসরার মহম্মদ নামে এক নিরাপত্তারক্ষী। এমনই খবর পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম সূত্রের। শুক্রবারের এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Pakistan Prime Minister Shehbaz Sharif)। মিশন হেড-কে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, “এখনই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হোক এবং এই জঘন্য কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”
গত বছর অগাস্ট মাসে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর, আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়নি পাকিস্তান। তা সত্ত্বেও সেখানে দূতাবাস খুলে রেখেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে এই হামলা।
সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে পাকিস্তান দূতাবাসের এক কর্মী জানিয়েছেন, এক হামলাকারী লুকিয়ে দূতাবাস চত্বরে ঢুকে পড়ে গুলি চালাতে শুরু করে। তবে, অ্যাম্বাসাডর ও দূতাবাসের অন্যান্য কর্মীরা নিরাপদে আছেন। সাবধানতার জন্য আমরা আপাতত দূতাবাসের বাইরে যাচ্ছি না।
এদিকে আফগানিস্তান বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের ইসলাম শাসক কাবুলে কূটনৈতিক মিশনে থাকা ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় সমস্যা হয় এমন কোনও কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেবে না। নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি এই ঘটনার তদন্ত করবে গুরুত্ব সহকারে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খর দিনকয়েক আগেই তালিবান সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য কাবুল গিয়েছিলেন। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই ঘটনায় চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
কাবুলে হামলা আগেও-
গত অক্টোবর মাসেই কাবুলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। প্রাণ হারান ৩৫ জন। জখম অন্তত ৮২ জন। কাবুলের পশ্চিম দিকের ডিস্ট্রিক্ট, ‘দশত-ই-বারচি’-র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝামাঝি নিজেকে উড়িয়ে দেয় এক জঙ্গি। সেখানে তখন বহু পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ‘দশত-ই-বারচি’ এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরে বিস্ফোরণ হয়েছে। আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল নফি তাকোর দাবি করেছিলে
(Feed Source: abplive.com)