বিস্ফোরক! এতদিনে জানা গেল করোনাভাইরাস ‘ম্যান-মেড’; ছড়ানোর জন্য দায়ী কোন দু’টি দেশ?

বিস্ফোরক! এতদিনে জানা গেল করোনাভাইরাস ‘ম্যান-মেড’; ছড়ানোর জন্য দায়ী কোন দু’টি দেশ?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেহের বাতাবরণ প্রথম থেকেই ছিল। অভিযোগের আঙুলও বহুবার উঠেছে। কিন্তু নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি বলে এতদিন স্পষ্ট করে কোনও পক্ষই কিছু বলতে পারত না। কিন্তু এবার সেই বাধাটা কেটে গেল। করোনাভাইরাসের উৎসসন্ধান সংক্রান্ত গবেষণায় বেরিয়ে এল স্তম্ভিত করা খবর! জানা গেল এই ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দুটি দেশ দায়ী– পরোক্ষ ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রত্যক্ষ ভাবে চিন।

মানুষের নিরন্তর লড়াইয়ের কাছে প্রতিহত হয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। তার কবল থেকে বেরিয়ে এসে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে বিশ্ব। গত দু’বছরের আতঙ্ক ভোলেনি কেউই। কোভিড-১৯ নিয়ে গবেষণারও তাই কোনও অন্ত নেই। গবেষণা হয় ভাইরাসটির উৎস নিয়ে। আর সেই গবেষণায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। কোভিড-১৯-এর উৎস নিয়ে যে জল্পনা চলছিল, প্রকারান্তরে সেটাতেই সিলমোহর দিলেন উহান ল্যাবের গবেষক অ্যান্ড্রিউ হাফ। এক সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন গবেষক অ্যান্ড্রিউ হাফ জানিয়েছেন– কোভিড-১৯ ‘ম্যান মেড ভাইরাস’ এবং এটি দু-বছর আগে উহান ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি (WIV) থেকেই বেরিয়েছে। এই অতিমারীর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অ্যান্ড্রিউ।

মহামারী বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রিউ হাফ ‘দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট উহান’ শীর্ষক তাঁর নতুন বইয়ে লিখেছেন– এই মহামারীর কারণ ছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের আর্থিক সহায়তায় চিনে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা। হাফ আরও জানিয়েছেন– চিনের আর্থিক লাভের জন্য বিভিন্ন ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা উহান ল্যাবে নতুন নয়, করোনা নিয়েও হচ্ছিল এবং সেটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না। তার ফলে সেটি ফাঁক গলে বেরিয়ে এসেছে।

চিনের উহান ল্যাবরেটরি থেকেই করোনা ভাইরাসটির উৎপত্তি বলে আগেও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও উহান ল্যাব কর্তৃপক্ষ এবং  জি জিনপিংয়ের সরকার একযোগে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু, এবার সেই একই অভিযোগ তুললেন উহান ল্যাবের গবেষক মহামারী বিশেষজ্ঞ।

জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেল্থ (NIH) এবং উহান ল্যাব যৌথভাবে প্রায় এক দশক ধরে করোনাভাইরাস-সহ বিভিন্ন ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিল। যার মধ্যে বাদুড় থেকে নির্গত ভাইরাস নিয়ে গবেষণাও ছিল। প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই সংস্থা এই ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেল্থ (NIH)। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই বায়োমেডিক্যাল এবং পাবলিক হেলথ রিসার্চের নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন সরকার।

(Feed Source: zeenews.com)