কলকাতা: যাঁদের আইকিউ বেশি তাঁরা এই অপটিক্যাল ইলিউশন টেস্টটি সমাধান করতে পারবেন সহজেই। মাত্র ৭ শতাংশ লোক ৫ সেকেন্ডের মধ্যে ছবিতে ডাইনিং এরিয়ার ভিতরে লুকিয়ে থাকা গোলাপি ফুলটিকে দেখতে পেয়েছেন বলে খবর ৷
যে কোনও অপটিক্যাল ইলিউশন বা দৃষ্টি বিভ্রম সৃষ্টিকারী ছবি গভীর ভাবে চিত্তাকর্ষক। শুধু তাই নয়, এক আকর্ষণও প্রতিহত করা প্রায় অসম্ভব। এমনকী, ছোটদের জন্য তৈরি করা কোনও ছবি দেখলে তা সমাধান করার লোভ সামলাতে পারেন না প্রাপ্তবয়স্করাও।
আসলে এই ধরনের ছবি কোনও বস্তুর আকৃতি পরিবর্তনকারী পরিবর্তন করে ফেলতে সক্ষম শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তনের মাধ্যমে। দৃষ্টি বিভ্রম নানা রকমের হতে পারে— প্রাকৃতিক, শারীরবৃত্তীয় বা বৌদ্ধিক। গবেষণা বলছে, দৃষ্টি বিভ্রম মনোবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে একটি বড় দিক উন্মোচন করতে পারে। কোনও ব্যক্তি ঠিক কী ভাবে তাঁর সমানের বস্তুগুলি বা ছবিটিকে উপলব্ধি করছেন তার উপর ভিত্তি করে তাঁর চরিত্রের উপর আলোকপাত করা সম্ভব। মস্তিষ্কে সাধারণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন উপলব্ধি গঠন করতে পারে। তাই এমন অপটিক্যাল ইলিউশন সফল হয়।
এমনই একটি ছবি সম্প্রতি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটি গোলাপি রঙের সুন্দর ফুল লুকিয়ে রয়েছে খাবার ঘরের মধ্যে। সেটিকে মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যে খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে।
ছবিটি দেখলে ছোটদের বলে মনে হলেও এমন ধাঁধা সমাধান করার লোভ সামলাতে পারেন না বড়রাও। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি সুন্দর করে সাজানো খাবারঘর। ডাইনিং টেবল, চেয়ার, পিছনে কাবার্ড, টেবলের উপর রাখা ফলের বাটি। দাবি করা হয়েছে যে শুধুমাত্র ৭ শতাংশ মানুষ এই ছবিতে লুকানো ফুলটি খুঁজে পেতে পারেন।
এটি আসলে এক ধরনের আইকিউ পরীক্ষা। যত তাড়াতাড়ি খুঁজে পাওয়া যাবে তত ক্ষুরধার বু্দ্ধির প্রমাণ মিলবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হতে পারে গোলাপি ফুলটি খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু যদি ছবিটি মনোযোগ দিয়ে দেখা যায় তা হলে অত কঠিন মনে নাও হতে পারে।
ভাল করে দেখলে দেখা যাবে ঘরের মাঝখানে রয়েছে দু’টি চেয়ার এবং একটি গোল টেবিল। এর উপরেই রাখা ফলের বাটি। টেবলের উপরে একটা ল্যাম্প ঝুলছে। পিছনে রাখা আলমারি। এরই মধ্যে লুকিয়ে গোলাপি ফুল।
ভাল করে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, ফলের বাটিতে, আপেল, কলা, মাঝখানে উঁকি দিচ্ছে ফুলটি।
চ্যালেঞ্জ মেনে মাত্র ৫ সেকেন্ডে তাকে খুঁজে পেয়ে থাকলে বলতেই হয় বুদ্ধির জোর আছে!