সেই ১৯৫৮সাল থেকে পথচলা শুরু হয়েছিল কলকাতার কফি হাউসের। তখন কলকাতা অন্য়রকম। বাঙালি তখনও মোবাইলে ডুব দেয়নি। আড্ডাপ্রিয় বাঙালির অন্য়তম ঠিকানা ছিল কফি হাউস। আর এত বছর বাদে সেই কফি হাউস এবার কলকাতার বাইরে পা রাখতে চলেছে। এবার শ্রীরামপুরেও কফি হাউস।
ইন্ডিয়ান কফি ওয়ার্কার্স কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের আওতায় পরিচালিত হয় কলকাতায় কফি হাউস। সাদা পোশাক, মাথায় সাদা পাগড়ি চাপিয়ে আজও কর্মীরা থাকেন কলকাতার কফি হাউসে। এবার শ্রীরামপুরের কফি হাউসেও থাকবে সেই ঐতিহ্যেরই ছোঁয়া। কলকাতার কফি হাউসের ছবি,মান্না দের ছবিও থাকবে শ্রীরামপুরের কফি হাউসে। আর থাকবে কফি হাউসের সেই আড্ডাটা…। কিন্তু সত্যিই কি সেই আগের আড্ডা আর বসানো সম্ভব? অনেকেই তো এখন ডুবে থাকেন মোবাইলে। মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে একটু আধটু কথা বলে নেওয়া। এই আর কি?
তবুও কলকাতার কফি হাউস আজও কলকাতার পরিচয় বহন করে। সেই নিরিখে এবার কফি হাউসের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে শ্রীরামপুরের নাম। শহরতলিতে এই প্রথম কলকাতার কফি হাউসের কোনও শাখা তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শ্রীরামপুরে তিনতলা বিল্ডিং তৈরি হয়েছে বলে খবর। সেই বিল্ডিংয়েই হবে কফি হাউস।তবে সূত্রের খবর, কলকাতার কফি হাউসে গেলে আজও মনে হয়, সময় যেন থমকে গিয়েছে এখানে। তবে শ্রীরামপুরের কফি হাউসে কিছুটা হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া থাকছে। এসিও থাকবে নয়া বিল্ডিংয়ে।
তবে বইপাড়ার বাইরে এই প্রথম শহরতলিতে পা রাখছে কফি হাউস। এতদিনের ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে কফি হাউসের সঙ্গে। আজও কলকাতায় পর্যটনের তালিকায় রাখা হয় কলকাতার কফি হাউসকে। বহু প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, বিজ্ঞানীর পা পড়েছে এই কফি হাউসে। সেক্ষেত্রে শ্রীরামপুরে এবার কার্যত অগ্নিপরীক্ষা কফি হাউসের। সেই ঐতিহ্য ধরে রেখে কতটা জনপ্রিয়তা পাবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে।