#কলকাতা: কেক ছাড়া বড়দিন পালন কার্যত অসম্ভব। তাই বড়দিন আসতেই লম্বা লাইন পড়ছে শহরের কেকের দোকানগুলির বাইরে। নিউ মার্কেটের নাহুমস বেকারি, তালতলার সালদানহা বেকারি কিংবা এন্টালির বড়ুয়া বেকারির সামনে লম্বা লাইনের ছবি। ১২০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ইহুদি বেকারি নহুমস থেকে কেক কিনতে লাইন দিতে হচ্ছে বিস্তর। কিন্তু তাতেও কুছ পরোয়া নেহি। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাইন দিয়েও কেক কিনছেন সবাই। এখানকার বিখ্যাত রিচ ফ্রুট কেক যদিও কয়েকদিন আগে থেকেই আউট অফ স্টক। অন্যান্য কেকের স্টক সামাল দিতেও কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন দোকানের কর্মচারীরা। তাও ক্রেতাদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুশি তাঁরাও।
প্রায় ১২০ বছর আগে তৈরি হওয়া নিউ মার্কেটের এই বেকারির কর্ণধার থাকেন ইজরায়েলে। স্থানীয় কর্মচারীদের উপর নির্ভর করেই কেকপ্রেমীদের কাছে কেক বিক্রি করে আসছে এই বেকারি। ভোর পাঁচটা থেকেই লাইন পড়তে শুরু করছে নাহুমস বেকারির সামনে। সমস্ত বেকারির কর্ণধার কিংবা কর্মচারীদেরই দাবি, আগের থেকে যত দিন যাচ্ছে এই ভিড়ের পরিমাণ বাড়ছে। ফুড ব্লগার কিংবা সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছতে পারছে এই বেকারিগুলি।শুধু কেকই নয়, অন্যান্য ঘর সাজানোর সামগ্রীর বাজারও একেবারে জমজমাট নিউমার্কেটে। গত দু বছরের বর্ষবরণ পর্ব অনেকটাই বাধ্যবাধকতার মধ্যে কেটেছে কলকাতাবাসীর। একদিকে কোভিডের চোখরাঙানি, অন্যদিকে অর্থনৈতিক ধাক্কা। সবমিলিয়ে সেভাবে কেউই বড়দিন থেকে নববর্ষের সপ্তাহে আগের মত আনন্দ করতে পারেননি। এবছর তাই আগেভাগেই উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ছে ধর্মতলা নিউমার্কেট সংলগ্ন বড়দিনের বাজারগুলোতে।
বড়দিনের জন্য ঘর সাজানোর সামগ্রীর বাজারও এবছর যথেষ্ট জমজমাট। ক্রিসমাস ট্রি থেকে সান্তা ক্লজ, সবই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। ক্রিসমাস ইভে সান্তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ৮ থেকে ৮০ সবাই। হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখেও। গত দুবছরে যেমন বিক্রিও ভাল ছিল না, তেমনই স্টকের জন্যও সমস্যায় পড়তে হয়েছিল সবাইকে। এবছর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় হাসি ফুটেছে সবার মুখেই।
(Feed Source: news18.com)