World’s Largest Outbreak: প্রতিদিন ৩৭০ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত! এ ভাবে চললে দেশটা তো উজাড় হয়ে যাবে…

World’s Largest Outbreak: প্রতিদিন ৩৭০ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত! এ ভাবে চললে দেশটা তো উজাড় হয়ে যাবে…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতিদিন ৩৭০ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন! এ ভাবে চললে দেশটা তো উজাড় হয়ে যাবে! চিনের পরিস্থিতি প্রায় তাইই। তবে এটা খুব আকস্মিকও নয়। কেননা, এই খবরের পাশাপাশি জানা যাচ্ছে আরও একটা খবর। সেটা হল, ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনেই চিনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন, এই মর্মে খবর আগে থেকেই ছিল চিনের আধিকারিকদের কাছে! জানা যাচ্ছে, সে দেশের শীর্ষ আধিকারিকরা নাকি এমনই ধারণা করেছিলেন। অথচ, কেন তা নিয়ে তেমন প্রতিরোধী ব্যবস্থা থাকল না? উঠছে প্রশ্ন। শুক্রবারই এমন তথ্য উঠে এল এক বিশেষ সংবাদমাধ্যম মারফত।

সেই প্রতিবেদনের দাবি, দেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা আগেভাগেই নাকি অনুমান করে রেখেছিলেন, ডিসেম্বরের প্রথমেই ঘটতে পারে করোনা-বিস্ফোরণ! আর সেই সংখ্যাটা নাকি অবলীলায় ২৫ কোটি ছাড়াবে! চিনে কত মানুষ আক্রান্ত, তার  প্রকৃত হিসেব এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে যদি এই পরিসংখ্যান সত্য হয়, তা হলে সে দেশের প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষ এখনই করোনা আক্রান্ত। একটা দৈনিক হিসেবও অবশ্য সদ্য মিলছে। সেখানে প্রতিদিন ৩৭ মিলিয়ন, মানে, ৩৭০ লাখ বা ৩ কোটি ৭০ লাখ অর্থাৎ, প্রতিদিন প্রায় ৪ কোটি করে মানুষ সেদেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন! এই তথ্য সত্যি হলে একদিনে কোভিড সংক্রমণের নিরিখে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিল চিন!

বুধবার প্রথম চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে আক্রান্তের পরিসংখ্যান নিয়ে কথা বলা হয় বলে জানা গিয়েছিল। সেই বৈঠকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার দিকে আরও মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল চিকিৎসকদের। আর শুক্রবার, এনএইচসি-র বৈঠকের আলোচ্য বিষয় চিনের সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখান থেকেই নাকি যাবতীয় তথ্য উঠে এসেছে। এনএইচসি আধিকারিকদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি।

চিনের প্রশাসন সবটা আঁচ করেও আগে থেকে কি কিছুই করেনি?

হ্যাঁ, করেছে বইকি। এইরকম একটা আতঙ্কের আভাস পেয়েছিল বলেই নাকি সাধারণের চলাফেরা এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের বিষয়ে এত কড়া মনোভাব নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু সাধারণের আপত্তিতেই শেষ পর্যন্ত সেটা বজয়া রাখা সম্ভব হয়নি।

(Feed Source: zeenews.com)